- English
- বাংলা
গায়া মিশন
গায়া ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির সায়েন্স প্রগ্রামের একটি কর্নারস্টোন মিশন। এই মিশনের অংশ হিসেবে সূর্য-পৃথিবী-চাঁদ সিস্টেমের দ্বিতীয় লাগ্রাঞ্জ পয়েন্টে একটি এস্ট্রোনমিকেল অব্জার্ভেটরি স্থাপন করা হয়েছে যার উদ্দেশ্য এক বিলিয়নের বেশি তারা অব্জার্ভ করে আমাদের গ্যালাক্সির আরো উন্নত ত্রিমাত্রিক মানচিত্র তৈরি করা। মিশনটির ইউরোপে বানানো নভোযান ও পেলোড ২০১৩ সালের ডিসেম্বর মাসে পৃথিবী ছেড়ে যায় এবং কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই এল-টু পয়েন্টে পৌঁছায়।
গায়া’র সার্ভিস মডিউলে আছে ফোকাল প্লেন থেকে আসা তথ্য প্রসেসিঙের সব ইলেক্ট্রনিক্স আর পৃথিবীর সাথে যোগাযোগের জন্য একটি ফেজড-অ্যারে এন্টেনা। পেলোড মডিউলে একটি ৩-মি ব্যাসের অপ্টিকেল বেঞ্চের উপরে বসানো রয়েছে দুটি টেলিস্কোপ, আর এদের ফোকাল প্লেনে আছে তিনটি বিজ্ঞানযন্ত্র যারা যথাক্রমে এস্ট্রোমেট্রি, ফটোমেট্রি ও স্পেক্ট্রোমেট্রি করতে পারে। পেলোড মডিউল তিনটি ভি-শেপের বাইপডের মাধ্যমে সার্ভিস মডিউলের উপরে বসানো। পেলোড ঢাকা একটি থার্মাল টেন্ট দিয়ে যার মধ্যে দুই টেলিস্কোপের এপার্চারের জন্য দুটি ওপেনিং আছে। এই তাবু আয়না ও ফোকাল প্লেনের যন্ত্রগুলোকে বাইরের হিট ও মাইক্রো-মেটিয়রয়েড থেকে রক্ষা করে।
গায়া মিশনের দুটি যমজ টেলিস্কোপের প্রতিটি তিনটি করে এনাস্টিগ্মেটিক আয়না দিয়ে বানানো, এবং এপার্চারের লেন্থ ১.৪৫ মি আর হাইট ০.৫ মি। দুই দুরবিনের আলো এক ফোকাল প্লেনে এসে মিলিত হয় এবং এদের ফোকাল লেন্থ ৩৫ মি। তারা থেকে যেকোনো একটা টেলিস্কোপে আসা আলোর পথে পড়ে ছয়টি রিফ্লেক্টর: প্রথম তিনটি হলো এনাস্টিগ্মেটিক আয়না, চতুর্থটি ফ্ল্যাট বিম কম্বাইনার, আর শেষ দুটি হলো ফ্ল্যাট ফোল্ডিং মিরর যাদের কাজ আলোকে ফোল্ড করে কমন ফোকাল প্লেনে নিয়ে যাওয়া।
আর ফোকাল প্লেনে বসানো আছে এক গাদা সিসিডি। এই ফিগারের উপরের প্যানেলে সব সিসিডি’র বিন্যাস ও সাইজ দেখানো হয়েছে মানুষের হাতের সাপেক্ষে। আর নিচের প্যানেলের স্কেচ দিয়ে বুঝানো হয়েছে তারা থেকে আসা আলো সিসিডিতে কিভাবে পৌঁছায়। মোট ১৭টি কলাম ও ৭টি রোতে সাজানো সিসিডিগুলো পাঁচ ধরনের:
- ওয়েভ-ফ্রন্ট সেন্সর (WFS) আর বেসিক এঙ্গেল মনিটর (BAM) মেট্রোলজির কাজ করে,
- SM স্কাইম্যাপে অব্জেক্ট সনাক্ত করে,
- এস্ট্রোমেট্রিক ফিল্ডে (AF) এস্ট্রোমেট্রির কাজ করা হয়,
- নীল (BP) ও লাল (RP) স্পেক্ট্রো-ফটোমিটার দিয়ে লো রেজলুশনের স্পেক্ট্রোমেট্রি করা যায়, আর
- রেডিয়াল ভেলোসিটি স্পেক্ট্রোমিটার (RVS) তারার রেডিয়াল বেগের মাধ্যমে স্পেক্ট্রোস্কপি করে।
মোট ১০৬টি সিসিডিতে পিক্সেলের সংখ্যা প্রায় এক বিলিয়ন। প্রতিটি পিক্সেলের সাইজ ১০×৩০ মাইক্রোমিটার যা আকাশে ৫৯×১১৭ মিলিআর্কসেকেন্ডের সমান। ফিগারের সবুজ রঙের সিসিডিগুলো ডব্লিউএফএস, এএফ ও এসএম-এ ইউজ করা হয়, নীল সিসিডি দিয়ে বানানো হয়েছে বিপি, আর লাল সিসিডিগুলো দিয়ে বিএএম, আরপি ও আরভিএস। সবগুলোই e2v টেকনোলজি লিমিটেডের সিসিডি৯১-৭২ দিয়ে তৈরি।