This is an old revision of the document!
১। সূচনা
এক
[১] খোদা যখন সৃষ্টি শুরু করেন পৃথিবী ও আকাশ [২] তখন পৃথিবী ছিল অগঠিত ও শূন্য, অতলের উপরে ছিল অন্ধকার, আর পানির উপর বইছিল খোদার বাতাস; [৩] খোদা বলেছিলেন, ‘আলো হোক’; এবং হয়েছিল আলো। [৪] খোদা দেখেছিলেন আলো ভালো, এবং খোদা আলোকে আলাদা করেছিলেন অন্ধকার থেকে। [৫] খোদা আলোকে ডেকেছিলেন দিন, আর অন্ধকারকে তিনি ডেকেছিলেন রাত। এবং হয়েছিল সন্ধ্যা, হয়েছিল সকাল, প্রথম দিন।
[৬] খোদা বলেছিলেন, ‘পানির মাঝখানে এক অঞ্চল হোক, যাতে সে আলাদা করতে পারে পানি থেকে পানি।’ [৭] খোদা বানিয়েছিলেন সে অঞ্চল, এবং সে আলাদা করেছিল অঞ্চলের নিচের পানি থেকে অঞ্চলের উপরের পানি। এবং তা হয়েছিল। [৮] খোদা অঞ্চলটিকে ডেকেছিলেন আকাশ। এবং হয়েছিল সন্ধ্যা, হয়েছিল সকাল, দ্বিতীয় দিন।
[৯] খোদা বলেছিলেন, ‘আকাশের নিচের সব পানি এক জায়গায় জড়ো হোক, যাতে শুষ্ক জমি জাগতে পারে।’ এবং তা হয়েছিল। [১০] খোদা শুষ্ক জমিকে ডেকেছিলেন মাটি, এবং পানির জড়ো হওয়াকে তিনি ডেকেছিলেন সাগর। এবং খোদা দেখেছিলেন তা ভালো। [১১] এবং খোদা বলেছিলেন, ‘মাটি গজিয়ে তুলুক সবজি: বীজধারী চারা, মাটির উপরে থাকা প্রত্যেক প্রজাতির ফলের গাছ যারা বীজধারী ফল ফলায়।’ এবং তা হয়েছিল। [১২] মাটি গজিয়ে তুলেছিল সবজি: প্রত্যেক প্রজাতির বীজধারী চারা, আর প্রত্যেক প্রজাতির গাছ যারা বীজধারী ফল ফলায়। এবং খোদা দেখেছিলেন তা ভালো। [১৩] এবং হয়েছিল সন্ধ্যা, হয়েছিল সকাল, তৃতীয় দিন।
[১৪] খোদা বলেছিলেন, ‘আকাশের অঞ্চলে আলো হোক রাত থেকে দিন আলাদা করতে; তারা হবে নির্ধারিত সময়ের নিশান—দিনের, বছরের; [১৫] তারা আকাশের অঞ্চলে আলো হয়ে জ্বলবে পৃথিবীর উপর।’ এবং তা হয়েছিল। [১৬] খোদা বানিয়েছিলেন দুই মহা আলো, বড়টি শাসন করতে দিন, ছোটটি শাসন করতে রাত, আর তারা। [১৭] এবং খোদা তাদের বসিয়েছিলেন আকাশের অঞ্চলে জ্বলতে পৃথিবীর উপর, [১৮] শাসন করতে দিন আর রাত, আলাদা করতে অন্ধকার থেকে আলো। এবং খোদা দেখেছিলেন তা ভালো। [১৯] এবং হয়েছিল সন্ধ্যা, হয়েছিল সকাল, চতুর্থ দিন।
[২০] খোদা বলেছিলেন, ‘পানি আনুক ঝাঁকে ঝাঁকে জীবন্ত প্রাণী, আর পাখি যারা মাটির উপর উড়ে আকাশের অঞ্চল জুড়ে।’ [২১] খোদা বানিয়েছিলেন সাগরের সব মহা দানব, এবং প্রত্যেক প্রজাতির সব জীবন্ত প্রাণী যারা মাটি কামড়ে চলে, যাদেরকে ঝাঁকে ঝাঁকে এনেছিল পানি, এবং প্রত্যেক প্রজাতির সব পাখাওয়ালা পাখি। এবং খোদা দেখেছিলেন তা ভালো। [২২] খোদা তাদের আশীর্বাদ করে বলেছিলেন, ‘উর্বর হয়ে বৃদ্ধি পাও, সাগরের পানি পূর্ণ করো, আর পাখিরা বৃদ্ধি পাক মাটিতে।’ [২৩] এবং হয়েছিল সন্ধ্যা, হয়েছিল সকাল, পঞ্চম দিন।
[২৪] খোদা বলেছিলেন, ‘মাটি আনুক প্রত্যেক প্রজাতির জীবন্ত প্রাণী: গবাদি পশু, মাটি কামড়ে চলা সবাই, আর প্রত্যেক প্রজাতির বন্য জন্তু।’ এবং তা হয়েছিল। [২৫] খোদা বানিয়েছিলেন প্রত্যেক প্রজাতির বন্য জন্তু আর প্রত্যেক প্রজাতির গবাদি পশু, আর পৃথিবীর মাটি কামড়ে চলা সব প্রজাতির প্রাণী। এবং খোদা দেখেছিলেন তা ভালো। [২৬] এবং খোদা বলেছিলেন, ‘চলো আমরা মানুষ বানাই আমাদের আদলে, আমাদের মতো করে। তারা শাসন করবে সাগরের মাছ, আকাশের পাখি, গবাদি পশু, সারা পৃথিবী, এবং মাটি কামড়ানো সব প্রাণী যারা মাটি কামড়ে চলে।’ [২৭] এবং খোদা বানিয়েছিলেন মানুষ তার নিজের আদলে, খোদার আদলে তিনি সৃষ্টি করেছিলেন মানুষ; পুরুষ ও নারী করে তিনি সৃষ্টি করেছিলেন তাদের। [২৮] খোদা তাদের আশীর্বাদ করেছিলেন এবং খোদা তাদের বলেছিলেন, ‘উর্বর হয়ে বৃদ্ধি পাও, পৃথিবী পূর্ণ করো ও তা আয়ত্ব করো; এবং শাসন করো সাগরের মাছ, আকাশের পাখি, এবং মাটি কামড়ে চলা সব জীবন্ত প্রাণী।’
[২৯] খোদা বলেছিলেন, ‘দেখো, আমি তোমাদের দিয়েছি পৃথিবীর উপরে থাকা প্রতিটি বীজধারী চারা, এবং বীজধারী ফল ফলানো প্রতিটি গাছ; এসব তোমাদের হবে খাবারের জন্য। [৩০] এবং মাটির সব প্রাণীকে, আকাশের সব পাখিকে, মাটি কামড়ে চলা সবাইকে, যাদের মধ্যে আছে জীবনের নিশ্বাস, সবাইকে (দিলাম) সব সবুজ গাছ খাবারের জন্য।’ এবং তা হয়েছিল। [৩১] এবং খোদা দেখেছিলেন তার বানানো সবকিছু, পেয়েছিলেন সব ভালো। এবং হয়েছিল সন্ধ্যা, হয়েছিল সকাল, ষষ্ঠ দিন।