Differences
This shows you the differences between two versions of the page.
Both sides previous revisionPrevious revisionNext revision | Previous revision | ||
bn:courses:ast100:1 [2024/10/13 10:14] – [3. ম্যাটারের জন্ম] asad | bn:courses:ast100:1 [2024/12/06 05:37] (current) – asad | ||
---|---|---|---|
Line 1: | Line 1: | ||
- | ====== ১. পার্টিকেল | + | ====== ১. কণা |
সক্রেটিস: | সক্রেটিস: | ||
Line 43: | Line 42: | ||
রবি: ম্যাথের সবকিছু ওই ইনফর্মেশনের ভিতরে আছে। | রবি: ম্যাথের সবকিছু ওই ইনফর্মেশনের ভিতরে আছে। | ||
- | সক্রেটিস: | + | সক্রেটিস: |
রবি: অনেক কগ্নিটিভ বিজ্ঞানীই মনে করেন চেতনা অন্য টাইপের জিনিস, | রবি: অনেক কগ্নিটিভ বিজ্ঞানীই মনে করেন চেতনা অন্য টাইপের জিনিস, | ||
Line 50: | Line 49: | ||
রবি: আমি এখনো মনে করি স্ট্রিং থিওরির ভবিষ্যৎ কোনো একটা ভার্সন সবকিছু ইউনিফাই করতে পারবে। কিন্তু সেটা অবশ্যই তোমরা বুঝবে না। বরং আমাদের এখন দেখা উচিত ইউনিফাই করা মানে কি, আর টো' | রবি: আমি এখনো মনে করি স্ট্রিং থিওরির ভবিষ্যৎ কোনো একটা ভার্সন সবকিছু ইউনিফাই করতে পারবে। কিন্তু সেটা অবশ্যই তোমরা বুঝবে না। বরং আমাদের এখন দেখা উচিত ইউনিফাই করা মানে কি, আর টো' | ||
+ | |||
+ | সক্রেটিস: | ||
===== - এনার্জির জন্ম ===== | ===== - এনার্জির জন্ম ===== | ||
+ | রবি: বর্তমানে আমাদের ইউনিভার্সে এনার্জি আছে চার রকমের। একেক এনার্জির ইন্টারেকশন একেক রকম। এনার্জির ইন্টারেকশনকে আমরা ফোর্স বলি। তাহলে চার এনার্জির সাথে সম্পর্কিত ফোর্সও আছে চারটা: | ||
+ | |||
{{: | {{: | ||
+ | |||
+ | সক্রেটিস: | ||
+ | |||
+ | রবি: কারণ, | ||
+ | |||
+ | সক্রেটিস: | ||
+ | |||
+ | রবি: শূন্য টাইম বলে কিছু আমরা ব্যাখ্যা করতে পারি না। প্লাংক টাইমে গিয়ে আমাদের সব থিওরি ভেঙে পড়ে। প্লাংক টাইম হলো এক সেকেন্ডের ১ কোয়াটোরডেসিলিয়ন (একের পরে ৪৫টা শূন্য) ভাগের এক ভাগ, তার মানে $10^{-45}$ সেকেন্ড। প্লাংক টাইমের পর থেকেই স্পেসটাইম ছিল, আর তার সাথে শুধু একটা ইউনিফাইড এনার্জি ও ফোর্স ছিল। এর নাম টো ফোর্স, | ||
+ | |||
+ | রিয়া: | ||
+ | |||
+ | রবি: মনে রেখো, | ||
+ | |||
+ | রিয়া: | ||
+ | |||
+ | রবি: এই বরফের মধ্যে বসে সেই সময় মহাবিশ্বের টেম্পারেচার কত ছিল তা ভাবতে অন্যরকম ভালো লাগার কথা। ভেবে দেখো। ব্রহ্মপুত্রের উৎস অনেক ঠাণ্ডা, | ||
+ | |||
+ | রিয়া: | ||
+ | |||
+ | রবি: ' | ||
+ | |||
+ | রিয়া: | ||
+ | |||
+ | রবি: যারা ম্যাথের মাধ্যমে কিছু বুঝতে পারবে না তাদের সুবিধার জন্য এগুলো এই চার ফোর্সের একটা প্রাথমিক পরিচিতি। প্রত্যেক ফোর্স কাজ করে নির্দিষ্ট পার্টিকেল আদান-প্রদানের মাধ্যমে। স্ট্রং ফোর্সের বা ইন্টারেকশনের কণা হলো গ্লুয়ন, | ||
+ | |||
+ | রিয়া: | ||
+ | |||
+ | রবি: সেটাই একেবারে ডানের চার ছবিতে দেখানো হয়েছে। স্ট্রং আর উইক ফোর্স এটমের নিউক্লিয়াসের ভিতরেই | ||
+ | |||
+ | রিয়া: | ||
+ | |||
+ | রবি: এটাই সবচেয়ে জরুরি জিনিস। আমি চার এনার্জির বা ফোর্সের জন্মের সিকোয়েন্সটা বললাম, | ||
+ | |||
+ | রিয়া: | ||
+ | |||
+ | সক্রেটিস: | ||
+ | |||
+ | রবি: তাহলে একটা মেটাফরের সময় এসে গেছে। একটা নির্দিষ্ট সময়ে সিমেট্রি ভেঙে যাওয়ার কারণ আসলে ফেইজের পরিবর্তন। যেমন, | ||
+ | |||
+ | রিয়া: | ||
+ | |||
+ | রবি: তরল পানি ফুটিয়ে বাষ্পে পরিণত করতে চাইলে যেমন হিট বা এনার্জি দিতে হয়, তেমনই বাষ্প জমিয়ে তরল পানিতে রূপান্তরিত করার সময় এনার্জির রিলিজ ঘটে। একইভাবে ইউনিভার্সের প্রতিটা ফেইজ ট্রাঞ্জিশন বা সিমেট্রি ব্রেকিঙের সময় প্রচুর এনার্জি বিমুক্ত হয়েছিল। এক অক্টিলিয়ন ডিগ্রিতে এনার্জির রিলিজ এত বেশি হয়েছিল যে তাতে ইউনিভার্স হুট করে অনেক বড় হয়ে যায়। এই ঘটনার নাম ইনফ্লেশন, | ||
+ | |||
+ | রিয়া: | ||
===== - ম্যাটারের জন্ম ===== | ===== - ম্যাটারের জন্ম ===== | ||
+ | |||
+ | রবি: তার জন্যই আমাদেরকে এখন নিচের ফিগারে চোখ রাখতে হবে। পার্টিকেল ফিজিক্সের স্ট্যান্ডার্ড মডেলে এখন পর্যন্ত যে সতেরটা কণা সম্মানের আসন পেয়েছে সেগুলো নিচে দুইভাবে দেখানো হয়েছে: | ||
+ | |||
{{: | {{: | ||
+ | |||
+ | রিয়া: | ||
+ | |||
+ | রবি: এনার্জি আর ম্যাটার (ভর) যে একই জিনিস তা তো আইনস্টাইনের সমীকরণ দিয়ে একটু আগেই বলেছি। ইলেক্ট্রন-ভোল্ট এনার্জির একক, কিন্তু সেটাকে আলোর বেগের বর্গ দিয়ে ভাগ করলেই ভর চলে আসবে। কিন্তু আমাদের জন্য আসল ভরের চেয়ে তুলনা বেশি জরুরি। এজন্য মেগা আর গিগার অর্থটা মনে রাখতে হবে: মেগা মানে মিলিয়ন, | ||
+ | |||
+ | রিয়া: | ||
+ | |||
+ | রবি: দারুণ বর্ণনা, | ||
+ | |||
+ | রিয়া: | ||
+ | |||
+ | {{: | ||
+ | |||
+ | রবি: ভালো প্রশ্ন। এনার্জি আর ম্যাটার যেহেতু ইকুইভ্যালেন্ট, | ||
+ | |||
+ | রিয়া: | ||
+ | |||
+ | রবি: না। কারণ পেয়ার প্রডাকশনের মাধ্যমে ম্যাটার বানাতে অনেক এনার্জি লাগে, | ||
+ | |||
+ | রিয়া: | ||
+ | |||
+ | রবি: হ্যাঁ, | ||
+ | |||
+ | রিয়া: | ||
===== - ফোটনের পটভূমি ===== | ===== - ফোটনের পটভূমি ===== | ||
- | {{: | + | রবি: চমৎকার প্রশ্ন। এই হলো সেই সব ফোটন, |
- | ===== - লাইট, | + | |
- | {{https://coalab.space/wp-content/uploads/2024/02/ems-1.webp? | + | {{: |
+ | |||
+ | রিয়া: | ||
+ | |||
+ | রবি: আচ্ছা আমি একটু ব্যাকে যাই। আসলে এই বরফের উপর বসে থেকে মাথা জমে গেছে। আমরা কি আংসি নদীর বরফ-গলা পানির উপর একটু হাঁটতে পারি না? যিশুও তো পানির উপর হেঁটেছিলেন। | ||
+ | |||
+ | হার্মিস: | ||
+ | |||
+ | রবি: পায়ে বরফ-গলা পানির স্পর্শ পেয়ে মাথা খুলেছে। ইউনিভার্সের ১ সেকেন্ড থেকে ১০ মিনিট বয়সে সবচেয়ে বড় যে-ঘটনাটা ঘটেছে তা হলো নিউক্লিওসিন্থেসিস, | ||
+ | |||
+ | {{: | ||
+ | |||
+ | রিয়া: | ||
+ | |||
+ | রবি: কারণটা আবারও টেম্পারেচার। ফিউশনের মাধ্যমে হিলিয়াম বানানোর জন্য তাপমাত্রা হতে হয় অন্তত ১ বিলিয়ন কেলভিন। দশ মিনিট বয়সে এক্সপান্ডিং ইউনিভার্সের তাপমাত্রা ১ বিলিয়ন ডিগ্রিতে নেমে গিয়েছিল, | ||
+ | |||
+ | রিয়া: | ||
+ | |||
+ | রবি: হ্যাঁ। তাপমাত্রা বেশি হলে পদার্থের কণাদের কাইনেটিক এনার্জি (গতি) অনেক বেশি হয়। কাইনেটিক এনার্জির সাথে যুদ্ধে হেরে যায় ইলেক্ট্রন ও প্রোটনের মধ্যকার পটেনশাল এনার্জি। এজন্যই প্রথম তিন লাখ বছর ইলেক্ট্রনরা ছিল ফ্রি, | ||
+ | |||
+ | রিয়া: | ||
+ | |||
+ | রবি: হ্যাঁ। এবং তাপমাত্রার সাথে এনার্জির ডেন্সিটি ম্যাটারের ডেন্সিটির তুলনায় বেশি তাড়াতাড়ি কমছিল। এই কারণেই মহাবিশ্বের বয়স যখন ৫০ হাজার বছর ছিল তখন এনার্জির ডেন্সিটি ম্যাটারের চেয়ে কমে যায়। প্রথম পঞ্চাশ হাজার বছর ছিল এনার্জির রাজত্ব, | ||
+ | |||
+ | রিয়া: | ||
+ | |||
+ | রবি: তখন তাপমাত্রা প্রায় ৩ হাজার কেলভিনে নেমে আসায় ইলেক্ট্রন আর ফ্রি থাকতে পারেনি। প্রোটন তার পটেনশাল এনার্জি দিয়ে ইলেক্ট্রনকে বেঁধে ফেলে, | ||
+ | |||
+ | রিয়া: | ||
+ | |||
+ | রবি: এখানে শূন্য মানে তিন লাখ বছর বয়সে ইউনিভার্সের এভারেজ টেম্পারেচার। এই এভারেজের সাপেক্ষে পুরা মহাবিশ্বের তাপমাত্রার পার্থক্য এই ম্যাপে দেখানো হচ্ছে। এটা কিন্তু পুরা ইউনিভার্সের ম্যাপ। ইউনিভার্স মানে তখন ছিল হাইড্রোজেন-হিলিয়ামের একটা সিঙ্গেল গ্যাস, | ||
+ | |||
+ | রিয়া: | ||
+ | ===== - লাইট | ||
+ | রবি: সিএমবি' | ||
+ | |||
+ | {{:bn: | ||
+ | |||
+ | রিয়া: | ||
+ | |||
+ | রবি: ওই ছবি তোলা হয়েছে ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির বানানো ' | ||
+ | |||
+ | সক্রেটিস: | ||
+ | |||
+ | রবি: আলো বা লাইট হচ্ছে ইলেক্ট্রোম্যাগ্নেটিক (ইএম) এনার্জি। আলো ফোটন দিয়ে তৈরি। আলোকে আবার তরঙ্গ হিসেবেও চিন্তা করা যায়। আমরা এখন আংসি নদীর উপর দিয়ে হাঁটছি। আংসির পানিতে আমি পা দিয়ে লাথি দিলে একটা তরঙ্গ তৈরি হবে পানির সার্ফেসে। আলো তেমনি একটা তরঙ্গ যা তৈরি হয় শুধুমাত্র ইএম ফিল্ডের মধ্যে। পানিতে তরঙ্গ আমি পা দিয়েই বানাতে পারি। কিন্তু ইএম ফিল্ডে তরঙ্গ তৈরি করতে লাগে চার্জড পার্টিকেল, | ||
+ | |||
+ | রিয়া: | ||
+ | |||
+ | সক্রেটিস: | ||
+ | |||
+ | রিয়া: | ||
+ | |||
+ | সক্রেটিস: | ||
+ | |||
+ | রিয়া: | ||
+ | |||
+ | সক্রেটিস: | ||
+ | |||
+ | রবি: চলো সবাই নৌকায় উঠে বাকি কথা শেষ করি। | ||
+ | |||
+ | [//আট জন নৌকায়, | ||
+ | |||
+ | রিয়া: | ||
+ | |||
+ | রবি: উনিশ শতক পর্যন্ত মানুষ ভিজিবল লাইট ছাড়া আর কোনো আলো চিনত না। জার্মানির দুই বিজ্ঞানী প্রথম ভিজিবল ছাড়া অন্য আলো খুঁজে পান। হাইনরিখ হের্টস ১৮৮৮ সালে রেডিও লাইট দেখেন, | ||
+ | |||
+ | মার্স: | ||
+ | |||
+ | রবি: তাহলে রেইনবোতে মানুষ ঠিক সাতটা কালার চিন্তা করল কেন? | ||
+ | |||
+ | মার্স: | ||
+ | |||
+ | |||
+ | ===== - টেলিস্কোপ ===== | ||
+ | রবি: রাত যেহেতু এসে গেছে সেহেতু আমাদেরকে এই টেলিস্কোপের একটা ডেমনস্ট্রেশন দিয়েই দাও। | ||
+ | |||
+ | {{: | ||
+ | |||
+ | মার্স: | ||
+ | |||
+ | রবি: ছবিতে টেলিস্কোপের যেসব স্পেসিফিকেশন দেয়া আছে তাদের কি অর্থ? | ||
+ | |||
+ | মার্স: | ||
+ | |||
+ | রবি: আর সেন্সিটিভিটি কি জিনিস? | ||
+ | |||
+ | মার্স: | ||
+ | |||
+ | রবি: তাহলে আকাশের একটা অব্জেক্টের ছবি তুলেই আমরা পার্টিকেল যুগের আলোচনা শেষ করি? | ||
- | {{https:// | + | মার্স: নৌকা থেকে খুব ভালো ছবি আসবে না। আজকে বরং আমরা খালি চোখেই আকাশ দেখি। সাংপো নদী দিয়ে আরো কিছু দূর গিয়ে আমরা তীর থেকে ছবি তুলব আরেক দিন। |
bn/courses/ast100/1.1728836080.txt.gz · Last modified: 2024/10/13 10:14 by asad