Abekta

Nothing human is alien to me

User Tools

Site Tools


Differences

This shows you the differences between two versions of the page.

Link to this comparison view

Both sides previous revisionPrevious revision
Next revision
Previous revision
om:aesthetics [2024/04/12 22:52] asadom:aesthetics [2024/04/14 03:25] (current) asad
Line 7: Line 7:
 শোপেনহাওয়ার রুচিকে জাজমেন্ট হিসেবে না দেখে এটিচুড হিসেবে দেখেন। রুচির জাজমেন্ট না, 'ধ্যান' নিয়ে তিনি চিন্তিত। সুন্দর বা নান্দনিক কিছু দেখলে আমরা তা ভালো না খারাপ সেটা ইচ্ছা দিয়ে জাজ করি না, বরং নিজের ইচ্ছাকে পুরা বিসর্জন দিয়ে সেই জিনিসের নান্দনিকতায় গা ভাসাই, এভাবে ইচ্ছাহীন মনোযোগে ভেসে যাওয়ার নামই রুচির ধ্যান, এবং এই ধ্যানের মধ্যেই রুচির মূল্য, বাইরের আর কোনো মূল্যের দরকার নাই। জগতে টিকে থাকার জন্য আমরা সব সময় ইচ্ছার জাঁতাকলে পিষ্ট হই, সারাক্ষণ ইচ্ছাশক্তি দিয়ে কিছু না কিছু করতে হয়, রুচি আমাদেরকে ইচ্ছাসক্তি থেকে মুক্তি দেয়, কেবল রুচির সাগরে ভাসার সময়ই আমরা বিকৃতি ছাড়া বাস্তবতার আসল এসেন্স অনুভব করতে পারি, এখানেই রুচির মূল্য। কান্টের স্বার্থহীনতার সাথে শোপেনহাওয়ারের ইচ্ছাহীনতা তুলনা করলে রুচির ধারণা আরো স্পষ্ট হয়। জর্জ ডিকি এসব এটিচুড থিউরিকে এটাক করছেন এই বলে যে, বিশুদ্ধ মনোযোগ বা ধ্যান বলে কিছু নাই, এস্থেটিক জিনিস উপভোগ করার সময় কেউই পুরা ভেসে যেতে পারে না। ধরুন থিয়েটারে 'ওথেলো' চলছে; ডিকি বলেন, অডিয়েন্সের কেউই আসলে পুরা ভেসে যাচ্ছেন না, এক মা তার ছেলের অভিনয় দেখে গর্বিত, এক হাজব্যান্ড নিজের ওয়াইফের গোপন লাভারের কথা ভেবে জেলাস, এক মরালিস্ট নাটকের মরাল নিয়ে উদ্বিগ্ন, আর থিয়েটারের মালিক দর্শকের সংখ্যা নিয়ে চিন্তিত। আমি অবশ্য মনে করি একমাত্র মালিক বাদে বাকি সবাই আসলেই ভেসে আছেন, হতে পারে কেউ সাগরে কেউ নদীতে কেউ পুকুরে, কিন্তু সবাই ভাসছেন। শোপেনহাওয়ার রুচিকে জাজমেন্ট হিসেবে না দেখে এটিচুড হিসেবে দেখেন। রুচির জাজমেন্ট না, 'ধ্যান' নিয়ে তিনি চিন্তিত। সুন্দর বা নান্দনিক কিছু দেখলে আমরা তা ভালো না খারাপ সেটা ইচ্ছা দিয়ে জাজ করি না, বরং নিজের ইচ্ছাকে পুরা বিসর্জন দিয়ে সেই জিনিসের নান্দনিকতায় গা ভাসাই, এভাবে ইচ্ছাহীন মনোযোগে ভেসে যাওয়ার নামই রুচির ধ্যান, এবং এই ধ্যানের মধ্যেই রুচির মূল্য, বাইরের আর কোনো মূল্যের দরকার নাই। জগতে টিকে থাকার জন্য আমরা সব সময় ইচ্ছার জাঁতাকলে পিষ্ট হই, সারাক্ষণ ইচ্ছাশক্তি দিয়ে কিছু না কিছু করতে হয়, রুচি আমাদেরকে ইচ্ছাসক্তি থেকে মুক্তি দেয়, কেবল রুচির সাগরে ভাসার সময়ই আমরা বিকৃতি ছাড়া বাস্তবতার আসল এসেন্স অনুভব করতে পারি, এখানেই রুচির মূল্য। কান্টের স্বার্থহীনতার সাথে শোপেনহাওয়ারের ইচ্ছাহীনতা তুলনা করলে রুচির ধারণা আরো স্পষ্ট হয়। জর্জ ডিকি এসব এটিচুড থিউরিকে এটাক করছেন এই বলে যে, বিশুদ্ধ মনোযোগ বা ধ্যান বলে কিছু নাই, এস্থেটিক জিনিস উপভোগ করার সময় কেউই পুরা ভেসে যেতে পারে না। ধরুন থিয়েটারে 'ওথেলো' চলছে; ডিকি বলেন, অডিয়েন্সের কেউই আসলে পুরা ভেসে যাচ্ছেন না, এক মা তার ছেলের অভিনয় দেখে গর্বিত, এক হাজব্যান্ড নিজের ওয়াইফের গোপন লাভারের কথা ভেবে জেলাস, এক মরালিস্ট নাটকের মরাল নিয়ে উদ্বিগ্ন, আর থিয়েটারের মালিক দর্শকের সংখ্যা নিয়ে চিন্তিত। আমি অবশ্য মনে করি একমাত্র মালিক বাদে বাকি সবাই আসলেই ভেসে আছেন, হতে পারে কেউ সাগরে কেউ নদীতে কেউ পুকুরে, কিন্তু সবাই ভাসছেন।
  
-ক্লাইভ বেল শোপেনহাওয়ারের সাথে রুচির ধ্যানের ব্যাপারে একমত, কিন্তু তার মতে এই ধ্যানের মূল্য জীবনের জাঁতাকল থেকে মুক্তি বা বাস্তবতার আসল এসেন্স দেখার মধ্যে না, কারণ জীবন জাঁতাকল না এবং রুচির বস্তু (যেমন, আর্ট) আমাদেরকে বাস্তবতার কোনো এসেন্স আসলে দেখাতে পারে না। বেলের কাছে রুচির ধ্যানের মূল্য 'আবেগের' মধ্যে। আর্ট বা এস্থেটিক অন্য কিছু উপভোগ করার সময় আমাদের আবেগের সাগরে যেসব ঢেউ উঠে তা বেলের মতে জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান অভিজ্ঞতা। এম সি বিয়ার্ডসলি এই অভিজ্ঞতার বিশদ ব্যাখ্যা দিয়েছেন।+ক্লাইভ বেল শোপেনহাওয়ারের সাথে রুচির ধ্যানের ব্যাপারে একমত, কিন্তু তার মতে এই ধ্যানের মূল্য জীবনের জাঁতাকল থেকে মুক্তি বা বাস্তবতার আসল এসেন্স দেখার মধ্যে না, কারণ জীবন জাঁতাকল না এবং রুচির বস্তু (যেমন, আর্ট) আমাদেরকে বাস্তবতার কোনো এসেন্স আসলে দেখাতে পারে না। বেলের কাছে রুচির ধ্যানের মূল্য 'আবেগের' মধ্যে। আর্ট বা এস্থেটিক অন্য কিছু উপভোগ করার সময় আমাদের আবেগের সাগরে যেসব ঢেউ উঠে তা বেলের মতে জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান অভিজ্ঞতা। এম সি বিয়ার্ডসলি এই অভিজ্ঞতার বিশদ ব্যাখ্যা দিয়েছেন। আমাদের জীবন অসম্পূর্ণ, খণ্ডিত, জীবনের কোনো মাস্টারপ্ল্যান কাজ করে না, কোনো সার্বিক লজিক নাই, কিন্তু আর্টের মাধ্যমে একটা সম্পূর্ণ সৃষ্টি উপভোগের অভিজ্ঞতা পাওয়া যায়। একটা মুভি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত একটা একক প্ল্যান অনুযায়ী চলে, পুরোটা একসাথে দর্শকের মনে একটা অখণ্ড অভিজ্ঞতা তৈরি করতে পারে। এই অভিজ্ঞতা মনোযোগ দিয়ে অর্জন করার মধ্যেই রুচির মূল্য। বিয়ার্ডসলির এই ব্যাখ্যা অবশ্য সব ধরনের এস্থেটিক অভিজ্ঞতার ক্ষেত্রে খাটে না। তাছাড়া ডিকি মনে করেন, আর্টের মধ্যে এসব গুণ থাকলেও আর্টের অভিজ্ঞতার মধ্যে সেসব গুণ নাও থাকতে পারে। বিয়ার্ডসলি পরে অভিজ্ঞতা থেকে সরে ক্লাইভ বেলের আরো কাছাকাছি গিয়ে রূপ বা ফর্মকে রুচির আসল অব্জেক্ট বলেছিলেন। এস্থেটিক জিনিসের অভিজ্ঞতা আসে তার রূপ থেকে। 
 + 
 +===== রেফারেন্স ===== 
 +  - //দ্য রাটলেজ কম্পেনিয়ন টু এস্থেটিক্স//, এডিশন ৩, রাটলেজ, ২০১৩
  
om/aesthetics.1712983920.txt.gz · Last modified: 2024/04/12 22:52 by asad

Donate Powered by PHP Valid HTML5 Valid CSS Driven by DokuWiki