Abekta

Nothing human is alien to me

User Tools

Site Tools


Differences

This shows you the differences between two versions of the page.

Link to this comparison view

Both sides previous revisionPrevious revision
Next revision
Previous revision
om:aesthetics [2024/04/12 04:32] asadom:aesthetics [2024/04/14 03:25] (current) asad
Line 1: Line 1:
 ====== এস্থেটিক্স ====== ====== এস্থেটিক্স ======
-এস্থেটিক্সর িষয় আর্ট, িল্প। শিল্পের সংজঞা দয়ার চেষ্টা চলছে গত আড়াই ার বছর ধরে। আর্ট প্লেটোর মতে অরণ, লস্টয়ের তে অনুভূতির বাহন, ্লইভ বেের মতে অরথপূর্ণ রূপ (১৯১৪),নেদেত্তো ্রোচ'র মতে ইন্টুইশনের প্রকাশ (১৯২০)। কিন্তু কোনো ংজঞাই শিপের ৈচিতয ধরে পারে না। বিশ কের ষাটের দশক থেকে আর্টের সংজ্ঞা প্রধাত দুইভাবে দো হচ্ছে, ফাংশন দিয়ে বা ফর্মুলা দিয়ে। কেউ ে কোকিছু আর্ট হয় দি সমাজে তার নির্দিষ্ট িছু ফংশন থাকে, কেউ বলে াই আর্ট যা নির্দিষ্ট কিছু ফর্ুলা মেনে বনানো। ফাংশনভিতিক সংজ্ঞা একা এমন হতে পারে: আর্ট কিছু ননেস্থেটিক জিনিসের মন বিন্যস যা মূন এস্থেটিক অভিজ্ঞতর জন্ম দেয় (িয়র্ডসি ১৯৮২)। এখে 'মূল্য' গুরুত্পূর্ণ। সবচেয়ে পপুলার ফর্মলাভিত্তিক সংজ্ঞাটি দিয়ছেন জর্জ ডিকি। ডিকির সংজ্ঞা সারুলা, কি্তু তর ে সেটা তার দুর্বলতা া বরং শকতি। ই সংজ্ঞার ভিত্তি শিল্পজগৎিজ্ঞানজগতের মতোই একটা ঐতিহািক ও সামাজিক শিল্জগৎ আছে যার সীমানার ভিতরে আরট উৎপাদন উপভোগ ও মালচনা করা হ। বিজ্ঞনজগতের যেমন কিছু নীতি আছেশিলগতর তেমনি িছু রীতি আছে। তাই আর্ট যা শিল্পী শিল্পজগতের রীতে ুঝে তৈরি করেন তাদের সামনে উপস্থাপনের জন্য যারা সেই সব রীতি বুঝে সেই জগতের সদস্য হয়েছেন। এমনও ভবা যায় যে আর্ট হতে হে একইসাথে ফাংশন ও ফর্মলার শর্ত পূরণ করতে হয়+এস্থেটিক্স রুচির দর্শ। র্শনের ই ার প্রশ্ন কটাই: নুষের রুচি কিভাবে কিসের মাধযমে কিসের ন্য তৈি হয়। ক সময় এসথেটিস ব্যস্ত িল ুধুমার আর্ট নিয়ে, এবং বিশেষ কে শিলপ কিভাবে সৌ্দর্যের ুভূতি তৈরি করে তা নিয়ে, কিন্ু া জানি র্ট মানেই িউটি না, আর এসথেটিক অভিজ্ঞা শুধু আর্ট না ং আরো অনেক কিছু থেকে আে পাে, যেমন প্রকৃতি বা খোদ। ইংিশে যাকে 'দি এস্থেটিক' বলা য় বালায় তাকই রুচি বলব। রুি তে ারে এক রনের জমেন্ট, িচুডঅভিজ্ঞা (একসপেরি্স), কোয়ািি, অব্জেক্ট বা মূল্য (ভ্যালু)
  
-শন ও র্মুলার সাথে র্ট হওয়ার আরেকটা র্ত আরোপ া যায়: ইতিহাস। ি্পজগতের ভিতরে র্ুলা ও শন মেনে বানানো কোনকিছুও নি আর্ট হয় যখন তাকে সেই জগতের ইতিাসে একটা নির্িষ্ট জাগা েয়া যা। যেন কৃষণ করলে ললােলা আমি করলে োষ, তেি িকাসো নিের ই পেইন্ট করলেও তা আর্ট হয় আর আমি চনি রাতের িন্সেন্িয়ান বি আঁকেও তা র্ট হয় ন। ারণ পিকাসোর াই ইতিাসে জায়া পায়, ার আগের কনো শিল্পর ই পায়নি।+===== রুচি ===== 
 +প্রথমে রুচিকে জজমেন্ট ভেবে ুরু করা যায়। ডেভিড হিউম ও তার সময়কার ব্রিটিশ অভিজ্ঞতাবাদীরা দাবি করেছিলে, রুচি এক ধরনের অন্তঃস্থ ইন্দ্রিয় যা সব বহিঃস্থ ইন্দ্রিয়ের উপর নির্ভরশীল হলেও নিছক তাদের সমষটি না। বহিঃস্থ ইন্দ্রিয়ের াধ্যমে রচি তার সব অব্জেক্ট পায়, কিন্তু তার পর নিজের মতো জাজমেন্ট তৈরি করে। হিউম, র্ড শ্যাফটসবারি ও ফ্রান্িস হচিসন ভাবতেন রুচি ও নৈতিকতা একই অন্তঃস্থ ইন্দ্রিয়ের প্রডাক্ট। আমরা যেভাবে কোনোকিছু সুন্দর মনে করি সেভাবেই কোনো কাজকে মৎ ভাবি। এবং রুচি ও নৈতিকতার অনুভূতি দুইটাই শেষ পর্যন্ত আমাদেরকে 'সুখ' দে। কন্ট ুচি থেকে আসা সুখ আর নৈতিকতা থকে আসা সুখের মধ্যে একটা মৌলিক পার্থক্য দেখে পান। নৈতিকতার সুখে স্বার্থ ছে, ুচির সুখে স্বার্থ নাই। কোনো কাজ নৈতিকভাবে ভালো ভাবার মধ্ে স্বর্থ আছে, কামনা আছে, কারণ আমরা সেই কাজ বাস্বে আসলেই করতে বা করাতে চাই। কিন্তু কোনো মুভি বা মুরাল যদি রুচির দিক দিয়ে ভালো লাগে, তালে সেই ভলোর অনুভূতি থেকে শুধু ুখ নেয়া ছাড়া আর কিছু করার থাকে না। রুচি ভাবের বযাার, নৈিকতা ভবের। নিঃস্বার্থ সুখের মধ্যেই রুচির রস। রুচি বলে শুয়ে শুয়ে অনুব করো, নৈতিা বলে উঠে গিয়ে কাজ কো। মনে হতে পাে, নিঃসবার্থ সখ দিয়ে রুচি ব্যাখ্যা করে রুচির আর 'মূল্য' থাকে না। ঠিক না। সারাদিন কাজ করা আর সারা সন্ধ্যা ওইন হাতে ুয়ে বসে মুভি দেখা দুয়েরই মূল্য আছে। 
 + 
 +শোপেহাওয়ার রুচিকে জাজমেন্ট হিসেবে না দেখে এটিচুড হিসেবে দেখে। রুচির জজমে্ট না, 'ধ্যান' নিয়ে তিনি চিন্তিত। সুন্দর বা নান্দনিক কিছু দেখলে আমরা তা ভালো না খারাপ সেটা ইচ্ছা দিয়ে জাজ ি না, বরং নিজের ইচ্াকে পরা বিসর্জন দিয়ে সেই জিনিসের নান্দনিকায় গা ভাসাই, এভাবে ইচ্ছাহীন মনোযোগে ভেসে যাওয়ার নামই রুচির ধ্যান, এবং এই ধ্যানের মধ্যেই রুচির মূল্য, বাইরের আর কোনো মূল্যের দরকার নাই। জগতে টিকে থাকার জন্য আমরা সব সময় ইচ্ছার জাঁতাকলে পিষ্ট হই, সারাক্ষণ ইচ্ছাশক্তি দিে কিছু া কিছু করে হয়, রুচি আমদেরকে ইচ্ছাক্তি থকে মুক্ি দয়, কেবল ুচির সাগরে ভাসার সময়ই আমরা বিকৃতি ছাড়া বস্তবতার আসল এসেন্স অনুভব করতে পারি, খানেই রুচির মূল্য। ান্ের স্বর্থহীতার সাথে শোপেনহাওয়ারের ইচছাহীনতা তুলনা করলে রুচির ধারণা আরো স্পষ্ট হয়। র্জ ডিকি এসব এটিচুড থিউরিকে এটক করছেন এই বলে যে, বিশুদ্ধ মনোযোগ া ধ্যান বলে কিছু নাই, এস্থেটিক জিনিস উপভোগ করার সময় কেউই পুরা ভেসে েতে পারে না। ধরুন থিয়েটারে 'ওথেলো' চলছে; ডিকি বলেন, অডিয়েন্সের কেউই আসলে পুরা ভেসে াচ্ছেন না, এক মা তার ছেলের অভিনয় দেখে গরবিত, এক হাজব্যান্ড নিজের ওয়াইফের গোপন াভারের কথা ভেবে জেলাস, এক মরািস্ট নটকর মরাল নিয়ে উদ্বিগ্ন, আর থিয়েটরের মালিক দর্শকের সংখ্যা নিয়ে চিন্তিত। আমি অবশ্য মনে করি একমাত্র মািক বাে বাকি সবাই আসলেই ভেসে আছেনতে পারে কেউ সাগরে কেউ দীতে কেউ ুরে, কিন্তু সবাই ভাসছেন। 
 + 
 +ক্লাইভ বেল শপেহাওয়ারের সাথে রুচির ধ্যানের ব্যাপারে একমত, কিন্তু তার মতে এই ধ্যাের মূলয জীবনের জাঁতাল থেকে মুক্তি বা বাস্তবতার আসল এসন্স দেখার মধ্যে না, কারণ জীবন জাঁতাকল না এবং রুচির বস্তু (যেমন, আর্টআমাদকে বস্বতার কোনো এসন্স আসলে দেখাতে পাে না। বেলের কাছে রুচির ধ্যাের মূলয 'আবেগের' মধ্যে। আর্ট বা এ্থটিক অন্য কিছু উপভোগ করার সময় আমদের আবেগের সাগরে যেসব ঢেউ উঠে তা বেলের মতে জীবের সচেয়ে মূল্যবান অভিজ্ঞতা। এম সি বিয়ার্ডসি এই অভিজ্ঞতার বিশদ বযাখ্যা দিেছেন। আমদের জীবন অসম্ূর্ণ, খণ্ডিত, জীবনের োনো মাস্টারপ্ল্যান কাজ করে না, কনো সা্বিক লজিক নাই, কিন্তু আর্টের মাধ্যমে একটা সম্পূর্ণ সৃষ্টি উপভোগর অভি্ঞতা পাওয়া যায়। একটা মুভি শুরু থেকে শেষ র্যন্ত একটা একক প্ল্যান অনুযায়ী চলেপুরোটা একসাথে দ্শকের মনে এটা অখণ্ড অভিজ্ঞতা তৈরি করতে পারে। এই অভিজ্ঞতা মনোযোগ দিয়ে অর্জন করার মধ্যেই রুচির মূল্য। বিয়ার্ডসলির এই ব্যাখ্যা অব্য সব ধরনের এস্থেটিক অভিজ্ঞতার ক্ষেত্রে খাটে না। তাছাড়া ডিকি মনে করেন, আর্টের মধ্যে এসব গুণ থাকেও আরটের অভিজ্ঞতার মধ্যে সেসব গুণ নাও থাকতে ে। বিয়র্ডসলি রে অভিজ্ঞতা থেকে সরে ক্লাইভ বেলের আরো কাছাকাছি গিে রূপ বা ফর্মকে রুচির আসল অব্জেক্ট বলেছিলে। এস্থেটিক জিনিসের অভিজ্ঞতা আসে তার রূপ থেকে
  
 ===== রেফারেন্স ===== ===== রেফারেন্স =====
-  - জর্জ ডিকি, 'ি নিউ ইনসটিটিউশনল থিওরি অফ আর্,' ৮ম ইন্টারনেশনাল ভিটগনস্টাইন সিম্পোজিয়ামর প্রসিডিং, ১৯৮৩। +  - //দ্য রাটলেজ কম্পেিয়ন টু এস্থেটিক্স//, এডিশন , রাটলে, ২০১৩ 
-  - এম সি বিয়ার্ডসলি, 'রিডিফাইিং আর্,' //দি এস্থেটিক পয়েনট অফ ভিউ//, ইথাকা: কর্নেল ইউনিপ্রে, ১৯৮২। +
-  - ক্লাইভ বেল, //আর্ট//, লন্ডন: চ্যাটো ন্ড উই্ডাস১৯১৪। +
-  - বেনেদেত্তো ক্োচে, অনু. ডি এইন্সি, //এস্থটিক্স//লন্ডন: ম্যাকমিলান, ১৯২০।+
om/aesthetics.1712917932.txt.gz · Last modified: 2024/04/12 04:32 by asad

Donate Powered by PHP Valid HTML5 Valid CSS Driven by DokuWiki