Differences
This shows you the differences between two versions of the page.
Both sides previous revisionPrevious revisionNext revision | Previous revision | ||
bn:un:space-physics [2024/10/01 08:11] – asad | bn:un:space-physics [2024/10/03 06:19] (current) – asad | ||
---|---|---|---|
Line 1: | Line 1: | ||
====== স্পেস ফিজিক্স ====== | ====== স্পেস ফিজিক্স ====== | ||
- | স্পেস ফিজিক্স, | ||
- | স্পেসযুগ শুরুর আগে স্পেস ফিজিক্স করা হতো মূলত পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের উপরের অংশের বিভিন্ন প্রসেস অব্জার্ভ ও ডিটেক্ট করার মাধ্যমে। কিন্তু বর্তমানে এই বিষয়ের বেশির ভাগ গবেষণা হয় রকেট ও স্পেসক্রাফট মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি ইন্টারেকশনের জায়গাগুলো থেকে সরাসরি ডেটা কালেক্ট করার মাধ্যমে। কালেকশনের জন্য যেসব যন্ত্র ইউজ করা হয় তার মধ্যে আছে ক্যামেরা, | + | স্পেস ফিজিক্স বা সোলার-টেরেস্ট্রিয়াল ফিজিক্সের প্রধান বিষয় হলো আউটার স্পেসে হাই এনার্জির চার্জিত পার্টিকেলের সাথে ইলেক্ট্রিক ও ম্যাগ্নেটিক ফিল্ডের ইন্টারেকশন। সূর্য থেকে সব সময় বের হওয়া সোলার উইন্ডের কণা পুরা হেলিওস্ফিয়ার জুড়ে একটা স্পেস প্লাজমা তৈরি করে। আমরা সোলার সিস্টেমের যেখানেই স্পেসক্রাফট, |
+ | |||
+ | স্পেসযুগ শুরুর আগে স্পেস ফিজিক্স করা হতো মূলত পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের উপরের অংশের বিভিন্ন প্রসেস অব্জার্ভ ও ডিটেক্ট করার মাধ্যমে। কিন্তু বর্তমানে এই বিষয়ের বেশির ভাগ গবেষণা হয় রকেট ও স্পেসক্রাফটের | ||
===== - স্পেস ফিজিক্সের ইতিহাস ===== | ===== - স্পেস ফিজিক্সের ইতিহাস ===== | ||
- | স্পেস ফিজিক্স শুরু হয়েছে পৃথিবীর দুইটা জিনিস নিয়ে মানুষের আগ্রহের কারণে: | ||
- | ==== - অরোরা ও জিওম্যাগ্নেট ==== | + | স্পেস |
- | অরোরা নিয়ে অনেক কুসংস্কার ও ভয় ছিল। ইউরোপে সতের শতকে এ নিয়ে প্রথম বৈজ্ঞানিক | + | |
- | আঠার শতকে **এডমন্ড হ্যালি** | + | ==== - অরোরা |
- | জিওম্যাগ্নেটের | + | অরোরা নিয়ে অনেক কুসংস্কার ও ভয় ছিল। ইউরোপে সতের শতকে এ নিয়ে প্রথম |
- | পৃথিবীর একেক জায়গা থেকে চৌম্বক মেরু ও ভৌগলিক | + | আঠার শতকে |
- | ভূচুম্বক ফিল্ড | + | জিওম্যাগ্নেটিজমের অস্তিত্ব |
- | ঠিক ১৬০০ সালে | + | পৃথিবীর একেক জায়গা থেকে চৌম্বক মেরু ও ভৌগলিক মেরুর দিকের মধ্যে পার্থক্য (যার নাম **ডেক্লিনেশন**) একেক রকম। এটা কখন প্রথম বুঝা গেছে আমরা নিশ্চিত জানি না। কিন্তু ষোল শতকে ইউরোপে লেখা এক চিঠিতে বলা হয়েছে, |
+ | |||
+ | জিওম্যাগ্নেটিক ফিল্ড মাটির দিকে নুয়ে যায়, এই নতির পরিমাণকে বলে ইনক্লিনেশন। এটা মাপা যায় পিভটের উপর বসানো কম্পাস দিয়ে, | ||
+ | |||
+ | ঠিক ১৬০০ সালে উইলিয়াম | ||
==== - আঠার-উনিশ শতক ==== | ==== - আঠার-উনিশ শতক ==== | ||
- | সোলার-টেরেস্ট্রিয়াল ফিজিক্সের টেরেস্ট্রিয়াল অংশে সতের শতকের মধ্যেই যথেষ্ট কাজ হয়েছে, | + | |
+ | সোলার-টেরেস্ট্রিয়াল ফিজিক্সের টেরেস্ট্রিয়াল অংশে সতের শতকের মধ্যেই যথেষ্ট কাজ হয়েছে, | ||
{{: | {{: | ||
- | উপরের ফিগারে দেখানো ১১ বছরের সোলার সাইকেল আবিষ্কার হয়েছে ১৮৫১ সালে। এই সাইকেলের সাথে সূর্যের ম্যাগ্নেটিক ফিল্ডের সম্পর্ক আছে। যেমন, | + | উপরের ফিগারে দেখানো ১১ বছরের সোলার সাইকেল আবিষ্কার হয়েছে ১৮৫১ সালে। এই সাইকেলের সাথে সূর্যের ম্যাগ্নেটিক ফিল্ডের সম্পর্ক আছে। যেমন, |
- | আঠার শতকের মাঝামাঝি সময়ে সুইডেনেই অরোরার সাথে | + | আঠার শতকের মাঝামাঝি সময়ে সুইডেনেই অরোরার সাথে |
- | উনিশ শতকে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসে। একসাথে অনেক জায়গা থেকে জিওম্যাগ্নেটিক ফিল্ড মাপা শুরু হয় ম্যাগ্নেটোমিটার দিয়ে। কালেক্ট করা সব ডেটার ভালো গাণিতিক বিশ্লেষণ করেছিলেন জার্মানির কার্ল গাউস। এর ফলে বুঝা গিয়েছিল ফিল্ডের কোন অংশটা মাটির নিচ থেকে আসে আর কোনটা এটমস্ফিয়ারে অনেক উপরে তৈরি হয়। | + | উনিশ শতকে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসে। একসাথে অনেক জায়গা থেকে জিওম্যাগ্নেটিক ফিল্ড মাপা শুরু হয় ম্যাগ্নেটোমিটার দিয়ে। কালেক্ট করা সব ডেটার ভালো গাণিতিক বিশ্লেষণ করেছিলেন জার্মানির কার্ল |
- | এই শতকেরই মাঝামাঝি সময়ে জার্মানির হাইনরিখ শোয়াবে আবিষ্কার করেন যে সূর্যের সার্ফেসে সানস্পটের সংখ্যা আনুমানিক দশ বছরের একটা সাইকেলে উঠানামা করে, যাকে এখন আমরা সোলার সাইকেল বলি। পাশাপাশি বিভিন্ন ব্রিটিশ কলোনিতে যখন ম্যাগ্নেটিক অব্জার্ভেটরি বসানো হয় তখন ইংলিশ এক বিজ্ঞানী বিভিন্ন মহাদেশের ডেটা এনালাইসিস করে বুঝতে পারেন যে পৃথিবীর জিওম্যাগ্নেটিক ডিস্টার্বেন্স সোলার সাইকেলের সাথেই উঠানামা করে। | + | এই শতকেরই মাঝামাঝি সময়ে জার্মানির হাইনরিখ |
- | রিসেন্ট ইতিহাসের সবচেয়ে বিস্ময়কর একটা ঘটনা ঘটে ১৮৫৯ সালে। ইংল্যান্ডের এমেচার এস্ট্রোনমার রিচার্ড ক্যারিংটন সূর্যের সার্ফেসে সাদা-আলোর এক বিশাল ফ্লেয়ার (দাউদাউ আগুন) লক্ষ করেন, | + | রিসেন্ট ইতিহাসের সবচেয়ে বিস্ময়কর একটা ঘটনা ঘটে ১৮৫৯ সালে। ইংল্যান্ডের এমেচার এস্ট্রোনমার রিচার্ড ক্যারিংটন সূর্যের সার্ফেসে সাদা-আলোর এক বিশাল |
- | পৃথিবীতে প্রায় প্রতি বছর কোনো না কোনোখানে সূর্যের পূর্ণগ্রহণ হয়। গ্রহণের সময় সূর্যের বাইরের অংশ ও করোনা ভালো দেখা যায়। কিন্তু সমস্যা হলো টোটাল এক্লিপ্স থাকে মাত্র কয়েক মিনিট যা সূর্যের সার্ফেসের এক্টিভিটি বুঝার জন্য যথেষ্ট না। ক্যারিংটন আসলে যে করোনাল মাস ইজেকশন (সিএমই) দেখেছিলেন তা | + | পৃথিবীতে প্রায় প্রতি বছর কোনো না কোনোখানে সূর্যের পূর্ণগ্রহণ হয়। গ্রহণের সময় সূর্যের বাইরের অংশ ও করোনা ভালো দেখা যায়। কিন্তু সমস্যা হলো টোটাল এক্লিপ্স |
- | উনিশ শতকের আরেকটা ভালো আবিষ্কার ছিল আর্কটিক এক্সপ্লোরার জন ফ্রাংকলিনের। তিনি বুঝতে পেরেছিলেন অরোরা একেবারে মেরু পর্যন্ত সমান হারে হয় না। এখন আমরা জানি অরোরা সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায় অরোরাল জোনে, | + | উনিশ শতকের আরেকটা ভালো আবিষ্কার ছিল আর্কটিক এক্সপ্লোরার জন ফ্রাংকলিনের। তিনি বুঝতে পেরেছিলেন অরোরা একেবারে মেরু পর্যন্ত সমান হারে হয় না। এখন আমরা জানি অরোরা সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায় অরোরাল জোনে, |
- | এই শতাব্দীর শেষ দশকে জে জে টমসন ইলেক্ট্রন আবিষ্কার করেন। নরওয়ের স্পেস ফিজিসিস্ট ক্রিস্টিয়ান বির্কলান্ড | + | এই শতাব্দীর শেষ দশকে জে জে টমসন ইলেক্ট্রন আবিষ্কার করেন। নরওয়ের স্পেস ফিজিসিস্ট ক্রিস্টিয়ান |
- | ==== - আয়নোস্ফিয়ার ও ম্যাগ্নেটোস্ফিয়ার ==== | + | ==== - আয়নোস্ফিয়ার ==== |
- | মাটি থেকে মোটামুটি ১০০ কিমি উপরে তড়িৎ-পরিবাহী যে-অঞ্চল আছে তার নাম আয়নোস্ফিয়ার। স্কটিশ আবহাওয়াবিদ বেলফোর স্টুয়ার্ট ১৮৮২ সালে এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকাতে লেখা এক আর্টিকেলে এই অঞ্চলের যে-বর্ণনা দিয়েছেন তা আধুনিক এটমস্ফিয়ারিক-ডায়নামো থিওরির বেশ কাছাকাছি। এই থিওরি বলে, পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের উপরের স্তরে সোলার উইন্ডের প্রভাবে ইলেক্ট্রনের কারেন্ট তৈরি হয়, এবং এই কারেন্টের সাথে জিওম্যাগ্নেটিক ফিল্ডের যোগাযোগের ফলে অরোরা তৈরি হয়। | + | মাটি থেকে মোটামুটি ১০০ কিমি উপরে তড়িৎ-পরিবাহী যে-অঞ্চল আছে তার নাম আয়নোস্ফিয়ার। এখানে কন্ডাক্টিভিটি অনেক বেশি কারণ কণায় কণায় ধাক্কাধাক্কি কম। স্কটিশ আবহাওয়াবিদ বেলফোর স্টুয়ার্ট ১৮৮২ সালে এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকাতে লেখা এক আর্টিকেলে এই অঞ্চলের যে-বর্ণনা দিয়েছেন তা আধুনিক এটমস্ফিয়ারিক-ডায়নামো থিওরির বেশ কাছাকাছি। এই থিওরি বলে, পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের উপরের স্তরে সোলার উইন্ডের প্রভাবে ইলেক্ট্রনের কারেন্ট তৈরি হয়, এবং এই কারেন্টের সাথে জিওম্যাগ্নেটিক ফিল্ডের যোগাযোগের ফলে অরোরা তৈরি হয়। |
- | বিশ শতকের শুরুতে ইলেক্ট্রিকেল ইঞ্জিনিয়াররা এই ফিল্ডে অবদান রাখতে শুরু করে। মার্কনি আটলান্টিকের এপার থেকে ওপারে যে রেডিও সিগ্নাল পাঠিয়েছিলেন তা কেনেলি ও হেভিসাইড ১৯০২ সালে আয়নোস্ফিয়ারের মাধ্যমে ব্যাখ্যা করেন। পৃথিবী থেকে রেডিও সিগ্নাল সোজা উপরের দিকে পাঠিয়ে প্রতিফলিত হয়ে ফিরে আসা সিগ্নাল মাপার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে দুই বিজ্ঞানী আয়নোস্ফিয়ারের এল্টিচুড বা হাইট মেপেছিলেন; | + | বিশ শতকের শুরুতে ইলেক্ট্রিকেল ইঞ্জিনিয়াররা এই ফিল্ডে অবদান রাখতে শুরু করে। মার্কনি আটলান্টিকের এপার থেকে ওপারে যে রেডিও সিগ্নাল পাঠিয়েছিলেন তা কেনেলি ও হেভিসাইড ১৯০২ সালে আয়নোস্ফিয়ারের মাধ্যমে ব্যাখ্যা করেন। পৃথিবী থেকে রেডিও সিগ্নাল সোজা উপরের দিকে পাঠিয়ে প্রতিফলিত হয়ে ফিরে আসা সিগ্নাল মাপার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে দুই বিজ্ঞানী আয়নোস্ফিয়ারের এল্টিচুড বা হাইট মেপেছিলেন; |
{{: | {{: | ||
- | আয়নোস্ফিয়ারের একেক লেয়ারে ইলেক্ট্রনের ডেন্সিটি একেক রকম যা রিফ্লেক্টেড রেডিও সিগ্নালে ধরা পড়ে। এভাবেই ডি ই এফ নামে তিনটা লেয়ার পাওয়া গেছে মোটামুটি ৬০, ৯০ ও ১১০ কিমি হাইট থেকে শুরু করে। ডি লেয়ারে প্রতি সিসিতে কয়েক শ ইলেক্ট্রন পাওয়া যায়, ই লেয়ারে কয়েক হাজার, | + | আয়নোস্ফিয়ারের একেক লেয়ারে ইলেক্ট্রনের ডেন্সিটি একেক রকম যা রিফ্লেক্টেড রেডিও সিগ্নালের মাধ্যমে মাপা যায়। এভাবেই ডি, ই, এফ নামে তিনটা অঞ্চল (রিজন) পাওয়া গেছে মোটামুটি ৬০, ৯০ ও ১১০ কিমি হাইট থেকে শুরু করে। ডি অঞ্চলে |
+ | |||
+ | এর পাশাপাশি বিশ শতকে স্পেক্ট্রোস্কপির উন্নতি হওয়ায় **অরোরার কালার** বোঝার চেষ্টা চলতে থাকে। মাটির কাছাকাছি একটা অক্সিজেন মলিকুল এক্সাইটেড (উত্তেজিত) হলে কোনো রেডিয়েশন দেয়ার আগেই অন্য মলিকুলের সাথে ধাক্কা খেয়ে ডি-এক্সাইটেড (প্রশমিত) হয়ে যায়, আলো দিতে পারে না। কিন্তু দুইশ কিমি হাইটে অণু পরমাণু এত কম যে উত্তেজিত এটম তার উত্তেজনা প্রশমনের জন্য অন্য কোনো এটম পাওয়ার আগেই রেডিয়েট করতে শুরু করে নির্দিষ্ট কোনো কম্পাঙ্কে, | ||
+ | |||
+ | উনিশ শতকের আশির দশকে ' | ||
+ | |||
+ | পৃথিবীর এটমস্ফিয়ারের বাইরের সারা মহাবিশ্ব নিয়ে গবেষণার জন্য যেমন আছে এস্ট্রোনমি, | ||
+ | |||
+ | ==== - ম্যাগ্নেটোস্ফিয়ার ==== | ||
+ | |||
+ | আয়নোস্ফিয়ারের উপরের অংশ থেকে অনেক দূর পর্যন্ত | ||
+ | |||
+ | {{: | ||
+ | |||
+ | সূর্য থেকে আসা পজিটিভ-নেগেটিভ চার্জের একটা জোড়াকে পৃথিবীর ম্যাগ্নেটোস্ফিয়ার একটা ম্যাগ্নেটিক ডাইপোল হিসাবে দেখে। এই ডাইপোলের কারণে আমাদের ফিল্ডের সূর্যের দিকে মুখ করে থাকা অংশটা সংকুচিত হয়, আর উল্টা দিকে একটা লেজ তৈরি হয়। সূর্যের প্লাজমা পৃথিবীর ম্যাগ্নেটোস্ফিয়ার পুরো ঘিরে ফেলে, | ||
+ | |||
+ | সূর্য থেকে আসা সোলার উইন্ডের সাথে পৃথিবীর ম্যাগ্নেটোস্ফিয়ারের সীমান্তের নাম ম্যাগ্নেটোপজ, | ||
+ | |||
+ | ' | ||
+ | |||
+ | {{: | ||
+ | |||
+ | বো শক সোলার উইন্ডের নেচার পাল্টে দেয়। পৃথিবীর ডাইপোল ম্যাগ্নেটিক ফিল্ড সোলার উইন্ডের অনেক কণা তার ফিল্ডলাইনের বোতলের ভিতর বন্দি করে ফেলে। ফিল্ড লাইন এক মেরু থেকে বেরিয়ে আরেক মেরুতে যায়। সোলার উইন্ডের বন্দি পার্টিকেল লাইন বরাবর যত মেরুর দিকে যায় লাইনের ডেন্সিটি তত বাড়ে, | ||
+ | |||
+ | ==== - সোলার উইন্ড ==== | ||
+ | |||
+ | সূর্যের ম্যাগ্নেটিক ফিল্ডের গুরুত্ব প্রথম ভালোভাবে বুঝা গিয়েছিল ১৯০৮ সালে, | ||
+ | |||
+ | এক এস্ট্রোনমার | ||
+ | |||
+ | সৌর চুম্বকক্ষেত্র মেনে নিলে পার্থিব চুম্বকক্ষেত্রের একটা সমস্যারও সমাধান হয়। সূর্যে কোনো ইরাপশনের কয়েক দিন পর পৃথিবীর ম্যাগ্নেটিক ফিল্ড হঠাৎ কয়েক মিনিটের মধ্যে অনেক বেড়ে যায়, এর নাম সাডেন ইম্পালস। টমাস গোল্ড এই সব সাডেন ইম্পালসের কারণ হিসেবে কলিশনহীন শককে দায়ী করেছিলেন। | ||
+ | |||
+ | পঞ্চাশের দশকে পৃথিবীতে সোলার উইন্ডের প্রভাব বিশ্লেষণ করে বলা হয়েছিল, | ||
+ | |||
+ | সূর্য ও পৃথিবীর ম্যাগ্নেটাইজড প্লাজমা থেকে মাঝে মাঝে বিপুল পরিমাণ এনার্জির রিলিজ ঘটে; সূর্যের ক্ষেত্রে এদের নাম সোলার ফ্লেয়ার, পৃথিবীর ক্ষেত্রে সাবস্টর্ম বা জিওম্যাগ্নেটিক ঝড়। রিলিজ হওয়া এই এনার্জি আগে স্টোর করে রাখে ম্যাগ্নেটিক ফিল্ড। ঠিক কিভাবে তা ষাটের দশকের আগে জানা যায়নি। চল্লিশের দশকে এক সূর্যবিজ্ঞানী সোলার ফ্লেয়ার ঘটার জায়গাতে কিছু নিউট্রাল | ||
+ | |||
+ | {{youtube> | ||
+ | \\ | ||
+ | ভিডিওতে যেমন দেখানো হয়েছে, | ||
+ | |||
+ | ==== - ইন্টারপ্ল্যানেটারি ভয়েজ ==== | ||
+ | |||
+ | সোলার উইন্ড সারা সৌরজগৎ জুড়ে চলতে থাকে যতক্ষণ না আসে হেলিওপজ, যেখানে এই সোলার উইন্ডের সাথে ইন্টারস্টেলার উইন্ডের সাক্ষাৎ ঘটে। মাঝখানে সোলার উইন্ড অনেক ধরনের বাধার সামনে পড়ে। একেক গ্রহের ম্যাগ্নেটোস্ফিয়ার একেক রকম। | ||
+ | |||
+ | ষাটের দশকে মানুষেরা চাঁদের মাটিতে পা রেখেছিল। এপোলো মিশন ১৯৬৯ থেকে ১৯৭৩-এর মধ্যে মুন থেকে যেসব রক নিয়ে এসেছিল তা বিশ্লেষণ করে জানা গেছে চাঁদের ক্রাস্ট ম্যাগ্নেটিক, | ||
+ | |||
+ | সূর্যের আল্ট্রাভায়োলেট রেডিয়েশন শুক্র ও মঙ্গল গ্রহের এটমস্ফিয়ারের বাইরের অংশ গরম | ||
+ | |||
+ | সত্তরের দশকে মেরিনার ১০ বুধ গ্রহে গিয়ে একটা মিনি ম্যাগ্নেটোস্ফিয়ার পেয়েছিল, | ||
+ | |||
+ | নব্বই সালে ইউলিসিস মিশন জুপিটারে গিয়েছিল এই গ্রহকে স্লিং হিসেবে ইউজ করে আরো দূরে যাওয়ার জন্য না, বরং জুপিটারের গ্র্যাভিটির ধাক্কায় উপরে উঠে গিয়ে সূর্যের মেরু অব্জার্ভ | ||
+ | |||
+ | {{https:// | ||
+ | |||
+ | ফ্লাইবাই (কাছ দিয়ে উড়ে যাওয়া) মিশনে একটা গ্রহ সম্পর্কে বেশি জানা যায় না। গ্রহের মানচিত্র বানাতে হলে তার চারদিকে অর্বিটার বসাতে হয়। জুপিটারে অর্বিটার পাঠানো হয়েছিল ১৯৯৫ সালে, | ||
- | এর পাশাপাশি | + | বিভিন্ন অর্বিটারের মাধ্যমে আমরা |
- | আয়নোস্ফিয়ারের উপরের অংশ থেকে অনেক | + | প্রায় পাঁচশ বছর |
bn/un/space-physics.1727791882.txt.gz · Last modified: 2024/10/01 08:11 by asad