Abekta

Nothing human is alien to me

User Tools

Site Tools


Differences

This shows you the differences between two versions of the page.

Link to this comparison view

Next revision
Previous revision
bn:un:magnetosphere [2024/10/06 05:48] – created asadbn:un:magnetosphere [2024/10/06 12:49] (current) – [1. ম্যাগ্নেটোস্ফিয়ারের কারেন্ট] asad
Line 13: Line 13:
  
 ম্যাগ্নেটোটেইলের বাইরের অংশকে বলে লোব। এখানে ইলেক্ট্রনের ঘনত্ব ও তাপমাত্রা অনেক কম। ইলেক্ট্রনের নাম্বার ডেন্সিটি প্রতি সিসিতে মাত্র ০.০১, টেম্পারেচার ৫ লাখ কেলভিন, আর ম্যাগ্নেটিক ফিল্ডের শক্তি ৩০ ন্যানোটেসলা। ম্যাগ্নেটোটেইলের বাইরের অংশকে বলে লোব। এখানে ইলেক্ট্রনের ঘনত্ব ও তাপমাত্রা অনেক কম। ইলেক্ট্রনের নাম্বার ডেন্সিটি প্রতি সিসিতে মাত্র ০.০১, টেম্পারেচার ৫ লাখ কেলভিন, আর ম্যাগ্নেটিক ফিল্ডের শক্তি ৩০ ন্যানোটেসলা।
 +
 +===== - ম্যাগ্নেটোস্ফিয়ারের কারেন্ট =====
 +ম্যাগ্নেটোস্ফিয়ারের প্লাজমা স্থির থাকে না, বাইরের বিভিন্ন প্রভাবে মুভ করে। অনেক সময় সোলার উইন্ডের মতোই ইলেক্ট্রন ও আয়ন একসাথে মুভ করে। কিন্তু কখনো ইলেক্ট্রন ও আয়ন বিপরীত দিকে মুভ করতে পারে, এবং এক্ষেত্রেই ইলেক্ট্রিক কারেন্ট তৈরি হয়, যা এই অঞ্চলে চার্জ, ম্যাস, মোমেন্টাম, এনার্জি, ইত্যাদি পরিবহনের জন্য খুব জরুরি। এই কারেন্ট থেকে তৈরি ম্যাগ্নেটিক ফিল্ড আবার ম্যাগ্নেটোস্ফিয়ারের ফিল্ড অনেক পাল্টে দিতে পারে। কিছু কারেন্ট নিচের ফিগারে দেখানো হয়েছে।
 +
 +{{:bn:un:magnetosphere-currents.webp?nolink&650|}}
 +
 +পৃথিবীর চুম্বকক্ষেত্রের প্রতিটা বিকৃতির সাথেই একটা করে কারেন্ট যুক্ত আছে। যেমন, ডেসাইডে সংকোচনের সাথে জড়িত কারেন্ট ম্যাগ্নেটোপজের সার্ফেসে প্রবাহিত হয় বলে এর নাম //ম্যাগ্নেটোপজ কারেন্ট//। একইভাবে নাইটসাইডের লেজের সার্ফেসে প্রবাহিত হয় //টেইল কারেন্ট//, আর মাঝখানের প্লাজমা শিটে থাকে //নিউট্রাল শিট কারেন্ট//। এই টেইল কারেন্ট ও শিট কারেন্ট আসলে সংযুক্ত এবং সূর্যের সাথে পৃথিবীকে যুক্ত করা লাইন থেকে তাকালে এদের যৌথ কারেন্ট দেখতে গ্রিক লেটার $\Theta$-র মতো লাগে।
 +
 +ম্যাগ্নেটোস্ফিয়ারের ভিতরের অংশ গঠনে বড় ভূমিকা রাখে //রিং কারেন্ট//। এই কারেন্ট পৃথিবীর চারদিকে পশ্চিম দিকে প্রবাহিত হয় পৃথিবী থেকে কয়েক আর্থ-রেডিয়াস দূরত্বে। রেডিয়েশন বেল্টের পার্টিকেল এই কারেন্টের ক্যারিয়ার। উত্তর থেকে দক্ষিণে বাউন্স করার পাশাপাশি এসব পার্টিকেল পূর্ব-পশ্চিমে ড্রিফট করে। প্রোটন পশ্চিমে ড্রিফট করে আর ইলেক্ট্রন পূর্বে ড্রিফট করে, এ কারণে চার্জের একটা নেট ট্রান্সপোর্ট ঠিকই ঘটে।
 +
 +পৃথিবীর আয়নোস্ফিয়ারের পরিবাহী লেয়ারে অনেকগুলো কারেন্ট আছে ১০০-১৫০ কিমি এল্টিচুডের মধ্যে। উল্লেখ করার মতো কারেন্টের মধ্যে আছে অরোরাল ওভালের ভিতরে চলা অরোরাল ইলেক্ট্রোজেট, ডেসাইডে মাঝামাঝি এল্টিচুডে থাকা এসকিউ কারেন্ট, এবং ম্যাগ্নেটিক ইকুয়েটরের কাছে ইকুয়েটরিয়াল ইলেক্ট্রোজেট।
 +
 +এতক্ষণ যেসব কারেন্ট নিয়ে কথা হলো তাদের দিক ম্যাগ্নেটিক ফিল্ডের সাথে পার্পেন্ডিকুলার। কিন্তু ফিল্ড লাইন বরাবর চলা কারেন্টও আছে। যেমন, ইলেক্ট্রনের প্রবাহ থেকে তৈরি বিভিন্ন ফিল্ড-এলাইন্ড কারেন্ট ম্যাগ্নেটোস্ফিয়ারের কারেন্টকে আয়নোস্ফিয়ারের মেরু অঞ্চলের কারেন্টের সাথে যুক্ত করে।
bn/un/magnetosphere.1728215318.txt.gz · Last modified: 2024/10/06 05:48 by asad

Donate Powered by PHP Valid HTML5 Valid CSS Driven by DokuWiki