Differences
This shows you the differences between two versions of the page.
Both sides previous revisionPrevious revisionNext revision | Previous revision | ||
bn:un:almagest-revolutions [2025/02/25 10:59] – [3. জিওমেট্রি থেকে এরিথমেটিক] asad | bn:un:almagest-revolutions [2025/03/02 02:27] (current) – asad | ||
---|---|---|---|
Line 1: | Line 1: | ||
====== আলমাজেস্ট থেকে রেভলুশনস ====== | ====== আলমাজেস্ট থেকে রেভলুশনস ====== | ||
- | গ্রিক এস্ট্রোনমার টলেমির [[wp> | + | গ্রিক এস্ট্রোনমার টলেমির [[wp> |
===== - এনুমা আনু এনলিল ===== | ===== - এনুমা আনু এনলিল ===== | ||
Line 14: | Line 14: | ||
===== - এরিথমেটিক থেকে জিওমেট্রি ===== | ===== - এরিথমেটিক থেকে জিওমেট্রি ===== | ||
- | ব্যাবিলনিয়া' | + | ব্যাবিলনিয়া' |
পিথাগোরাসের অনুসারীরা প্রথম ভালোভাবে প্রতিষ্ঠা করেছিল যে পৃথিবী একটা গোলক (স্ফিয়ার), | পিথাগোরাসের অনুসারীরা প্রথম ভালোভাবে প্রতিষ্ঠা করেছিল যে পৃথিবী একটা গোলক (স্ফিয়ার), | ||
Line 26: | Line 26: | ||
{{: | {{: | ||
- | বাস্তববাদী এরস্টটল এই গাণিতিক মডেল মানতে পারেনি। সে সব গোলক বাদ দিয়ে প্রথমে উপরে দেখানো ৮ গোলক চিন্তা করে। সবার বাইরে তারাগোলক (৮ নম্বর), | + | বাস্তববাদী এরস্টটল এই গাণিতিক মডেল মানতে পারেনি। সে সব গোলক বাদ দিয়ে প্রথমে উপরে দেখানো ৮ গোলক চিন্তা করে। সবার বাইরে তারাগোলক (৮ নম্বর), |
এস্ট্রোনমারদের জন্য দার্শনিকদের এই আদর্শ সিস্টেম একটা বোঝা হয়ে গিয়েছিল, | এস্ট্রোনমারদের জন্য দার্শনিকদের এই আদর্শ সিস্টেম একটা বোঝা হয়ে গিয়েছিল, | ||
===== - জিওমেট্রি থেকে এরিথমেটিক ===== | ===== - জিওমেট্রি থেকে এরিথমেটিক ===== | ||
- | এসব সমস্যার কারণে হেলেনিক যুগের (এরিস্টটলের পরের) গ্রিক এস্ট্রোনমাররা জ্যামিতিক সিস্টেম থেকে আবার ব্যাবলনিয়ার এরিথমেটিক হিসাবের দিকে মনোযোগ দিতে শুরু করে। এস্ট্রোনমিতে প্রায়োগিকতা ও প্রেডিক্টেবিলিটি সবার আগে। জ্যামিতিনির্ভর মডেলের চেয়ে শুধু অব্জার্ভেশন থেকে পাওয়া ডেটা বেশি কাজের। এই কারণেই এরিস্টার্কাসের সূর্যকেন্দ্রিক (হেলিওসেন্ট্রিক) মডেলও গ্রিকদের কাছে জনপ্রিয় হয়নি। এরিস্টার্কাস মনে করত পৃথিবী ও অন্য সব গ্রহ সূর্যের চারদিকে ঘুরছে, | + | এসব সমস্যার কারণে হেলেনিক যুগের (এরিস্টটলের পরের) গ্রিক এস্ট্রোনমাররা জ্যামিতিক সিস্টেম থেকে আবার ব্যাবিলনিয়ার এরিথমেটিক হিসাবের দিকে মনোযোগ দিতে শুরু করে। এস্ট্রোনমিতে প্রায়োগিকতা ও প্রেডিক্টেবিলিটি সবার আগে। জ্যামিতিনির্ভর মডেলের চেয়ে শুধু অব্জার্ভেশন থেকে পাওয়া ডেটা বেশি কাজের। এই কারণেই এরিস্টার্কাসের সূর্যকেন্দ্রিক (হেলিওসেন্ট্রিক) মডেলও গ্রিকদের কাছে জনপ্রিয় হয়নি। এরিস্টার্কাস মনে করত পৃথিবী ও অন্য সব গ্রহ সূর্যের চারদিকে ঘুরছে, |
{{: | {{: | ||
- | ইউডক্সাসের গোলক গ্রহণযোগ্যতা না পেলেও এরিস্টটলের জিওসেন্ট্রিক মডেল থেকে এস্ট্রোনমাররা কাজ শুরু করেছিল এবং প্লেটোর ইউসিএম ফেলে দেয়ার সাহসও তাদের হয়নি। যিশুর দুইশ বছরের মতো আগে এপোলোনিয়াস জিওসেন্ট্রিক মডেল দিয়ে সাত প্ল্যানেটের সব ধরনের গতি ব্যাখ্যা করার জন্য দুইটা নতুন চাল চালে। প্রথমত, | + | ইউডক্সাসের গোলক গ্রহণযোগ্যতা না পেলেও এরিস্টটলের জিওসেন্ট্রিক মডেল থেকে এস্ট্রোনমাররা কাজ শুরু করেছিল এবং প্লেটোর ইউসিএম ফেলে দেয়ার সাহসও তাদের হয়নি। যিশুর দুইশ বছরের মতো আগে এপোলোনিয়াস জিওসেন্ট্রিক মডেল দিয়ে সাত প্ল্যানেটের সব ধরনের গতি ব্যাখ্যা করার জন্য দুইটা নতুন চাল চালে। প্রথমত, |
+ | |||
+ | {{youtube> | ||
+ | \\ | ||
+ | প্ল্যানেটের বেগ যদি এপিসাইকেলের চেয়ে যথেষ্ট বেশি হয় তাহলে প্ল্যানেট যখন ডেফারেন্টের ভিতরে চলে আসে তখন কিছুটা সময় পৃথিবী থেকে মনে হবে সে উল্টা দিকে যাচ্ছে। এপোলোনিয়াস মডেল বানালেও তা ইউজ করে সব প্ল্যানেটের গতি আসলেই হিসাব করেছিল কি না আমরা জানি না, কারণ তার কোনো লেখা আমাদের হাতে আসেনি। কিন্তু তার পরের প্রজন্মে হিপার্কাস ঠিক এই কাজটাই করেছিল। হিপার্কাসের মাধ্যমেই গ্রিকদের জ্যামিতিক মডেল ব্যাবিলনিয়ান | ||
+ | |||
+ | এপোলোনিয়াসের জিওমেট্রির সাথে ব্যাবিলনিয়ার | ||
+ | |||
+ | টলেমি ১৫০ সালের | ||
+ | |||
+ | এই বইয়েই প্রথম পৃথিবী থেকে চাঁদ সূর্য গ্রহ ও তারাদের দূরত্বের ক্রম ঠিক করার কথা বলা হয়েছে। তারাগোলক যে সবচেয়ে দূরে, | ||
+ | |||
+ | টলেমির আরেকটা বড় অবদান ছিল প্রথমবারের মতো মহাবিশ্বের সাইজ মাপা। সে চিন্তা করেছিল এক প্ল্যানেটের গোলক থেকে তার পরের প্ল্যানেটের গোলকের মধ্যে কোনো ফাঁক নাই। অতএব প্রত্যেক গোলকের পুরুত্ব হিসাব করে সে পৃথিবী থেকে তারাগোলক পর্যন্ত মোট দূরত্ব পেয়েছিল পৃথিবীর ব্যাসার্ধের ১৯, | ||
+ | |||
+ | ===== - কিমেরা ও কোপার্নিকাস ===== | ||
+ | পোলিশ পাদ্রি কোপার্নিকাস পড়াশোনা করেছিল রেনেসাঁর ইতালিতে, | ||
+ | |||
+ | এই কিমেরা ধ্বংস করে মহাবিশ্বের একটা " | ||
+ | |||
+ | {{https:// | ||
+ | |||
+ | ' | ||
+ | |||
+ | {{https:// | ||
+ | |||
+ | কোপার্নিকাসের এই কসমোভিশন খুব সহজে গ্রহদের উল্টাগতিও (রেট্রোগ্রেড মোশন) ব্যাখ্যা করতে পেরেছিল, | ||
+ | |||
+ | ' | ||
+ | |||
+ | ===== - জিওমেট্রি থেকে ফিজিক্স ===== | ||
+ | নিশ্চিত প্রমাণের জন্য আমাদের অপেক্ষা করতে হবে আঠার শতক পর্যন্ত। কিন্তু এর মধ্যে নিশ্চিত প্রমাণ ছাড়াই বেশির ভাগ এস্ট্রোনমার সূর্যকেন্দ্রিক বিশ্বে বিশ্বাস করতে শুরু করেছিল, | ||
+ | |||
+ | প্রত্যেক এস্ট্রোনমারের মধ্যে একজন কসমোলজিস্ট বাস করে। ব্রাহিও কসমোলজিকেল মডেল বানিয়েছিল একটা যার কেন্দ্রে পৃথিবী, | ||
+ | |||
+ | {{https:// | ||
+ | |||
+ | দ্বিতীয় সূত্র বলে, একটা | ||
+ | |||
+ | $$ \frac{dA}{dt} = \frac{J}{2m}$$ | ||
+ | |||
+ | যেখানে $J$ গ্রহটার এঙ্গুলার মোমেন্টাম, | ||
+ | |||
+ | $$ T^2 \propto r^3 \Rightarrow \left(\frac{r}{v}\right)^2 \propto r^3 \Rightarrow \frac{v^2}{r} \propto \frac{1}{r^2} \Rightarrow a_c \propto \frac{1}{r^2} $$ | ||
+ | |||
+ | যেখানে $v$ গ্রহের বেগ এবং $a_c$ তার | ||
+ | |||
+ | $$ F_c = m a_c = GMm \frac{1}{r^2} $$ | ||
+ | |||
+ | যেখানে $G$ নিউটনের গ্র্যাভিটেশনাল কনস্টেন্ট, আর $M$ সূর্যের ভরের প্রায় সমান। তবে নিউটনের ইন্টুইশন তৈরিতে আরো কয়েক জনের কাজের বড় ভূমিকা ছিল, বিশেষ করে ডিগস, | ||
+ | |||
+ | {{https:// | ||
+ | |||
+ | কোপার্নিকাস বৈপ্লবিক হলেও | ||
+ | |||
+ | {{https:// | ||
+ | |||
+ | এস্ট্রোনমিকে কসমোলজির মাধ্যমে গণিত থেকে ফিজিক্সে রূপান্তরিত করার কাজে এর পর অবশ্যই গ্যালিলিওর নাম বলতে হবে। ডাচদের দেখাদেখি টেলিস্কোপ বানিয়ে গ্যালিলিও ১৬১০ সালে প্রথম আকাশের দিকে তাক করে দেখেছিল অদেখা অনেক তারা, | ||
+ | |||
+ | নিউটন ১৬৮৭ সালে যখন [[wp> | ||
+ | |||
+ | ===== - রেভলুশনসের প্রমাণ ===== | ||
+ | ==== - এবারেশন: | ||
+ | বিশ শতকের আইনস্টাইন থেকে আমাদেরকে আবার আঠার ও উনিশ শতকে ফিরে যেতে হবে ' | ||
+ | |||
+ | {{https:// | ||
+ | |||
+ | [[aberration|আলোর এবারেশন]] হয় সূর্যের চারদিকে পৃথিবীর বেগের পরিবর্তনের কারণে। উপরের ছবির মতো যদি ধরা হয় অনেক দূরের তারা থেকে আলো লম্বালম্বিভাবে পৃথিবীতে আমাদের উপর পড়ছে, | ||
+ | |||
+ | $$ \alpha = \theta-\phi = \frac{v}{c} $$ | ||
+ | |||
+ | যেখানে $\alpha$ এবারেশন, | ||
+ | |||
+ | {{https:// | ||
+ | |||
+ | আঠার শতকের সবচেয়ে বড় এস্ট্রোনমারদের একজন ইংল্যান্ডের জেমস ব্র্যাডলি পৃথিবীর বেগের কারণে তারার পজিশনের এই পরিবর্তন পাব্লিশ করেছিল ১৭২৭ সালে। গামা ড্রাকোনিস (নীল কার্ভ) ও ৩৫ ক্যামেলোপার্ডালিস (লাল কার্ভ), | ||
+ | |||
+ | ==== - প্যারালাক্স: | ||
+ | {{: | ||
+ | |||
+ | তবে ইন্টারেস্টিং হচ্ছে, | ||
+ | |||
+ | জ্যামিতিক হিসাব থেকে ব্র্যাডলি জানত যে প্যারালাক্সের কারণে গামা ড্রাকোনিস ডিসেম্বর মাসে তার বার্ষিক পথের সবচেয়ে দক্ষিণে থাকার কথা, এবং তারপর এক মাসের মধ্যে তার পজিশন খুব একটা পাল্টানোর কথা না। কিন্তু মাপতে গিয়ে সে দেখেছিল, | ||
+ | |||
+ | {{ : | ||
+ | |||
+ | এবং এবারেশনের ম্যাক্সিমাম কেন প্যারালাক্সের ম্যাক্সিমামের চেয়ে তিন মাস আগে-পরে হবে তাও সে বুঝতে পেরেছিল। প্যারালাক্স পৃথিবীর পজিশনের উপর নির্ভর করে, আর পজিশন হচ্ছে পৃথিবীর অর্বিটের রেডিয়াসের শেষ প্রান্ত, | ||
+ | |||
+ | ব্র্যাডলির কোনো অব্জার্ভেশনে যেহেতু প্যারালাক্স ধরা পড়েনি সেহেতু প্যারালাক্স নিশ্চয়ই ১ আর্কসেকেন্ডের কম। এবং আসলেই তাই। পাশের ছবিতে যেমন দেখানো হয়েছে, | ||
+ | |||
+ | $$ \tan p \approx p = \frac{a}{r} $$ | ||
+ | |||
+ | যেখানে $a$ পৃথিবী থেকে সূর্যের দূরত্ব, | ||
+ | |||
+ | জার্মানিতেই ফ্রিডরিখ বেসেল ১৮৩৪ সালে ৬১ সিগ্নি তারার প্যারালাক্স মাপার চেষ্টা শুরু করেছিল। স্ট্রুভের দাবিতে উদ্বুদ্ধ হয়ে বেসেল আরো নিবিড় পর্যবেক্ষণ শুরু করে এবং ১৮৩৮ সালে ৬১ সিগ্নি' |
bn/un/almagest-revolutions.1740506380.txt.gz · Last modified: 2025/02/25 10:59 by asad