Abekta

Nothing human is alien to me

User Tools

Site Tools


Differences

This shows you the differences between two versions of the page.

Link to this comparison view

Both sides previous revisionPrevious revision
Next revision
Previous revision
bn:courses:ast100:4 [2024/12/14 02:13] – [4. গ্রহ আবিষ্কারের উপায়] asadbn:courses:ast100:4 [2024/12/14 09:41] (current) – [4. গ্রহ আবিষ্কারের উপায়] asad
Line 172: Line 172:
 **সক্রেটিস:** কিন্তু গ্রহ তো তারার আলো রিফ্লেক্ট করে, এই কারণেই তো পৃথিবীর আকাশে আমাদের সৌরজগতের গ্রহগুলোকে দেখতে কিছুটা তারার মতো লাগে। অন্য তারার গ্রহরাও কি এভাবে তাদের তারার আলো রিফ্লেক্ট করে না? **সক্রেটিস:** কিন্তু গ্রহ তো তারার আলো রিফ্লেক্ট করে, এই কারণেই তো পৃথিবীর আকাশে আমাদের সৌরজগতের গ্রহগুলোকে দেখতে কিছুটা তারার মতো লাগে। অন্য তারার গ্রহরাও কি এভাবে তাদের তারার আলো রিফ্লেক্ট করে না?
  
-**হার্মিস:** করে। কিন্তু অনেক দূরে হওয়ায় এই প্রতিফলিত আলো আমাদের পক্ষে তারা থেকে আলাদা করে দেখা সম্ভব হয় না। আমাদের থেকে দূরত্বের তুলনায় একটা তারা থেকে তার গ্রহের দূরত্ব এতই কম যে তা বুঝার মতো রেজলুশন বর্তমানে আমাদের টেলিস্কোপের নেই। কাছের কিছু প্ল্যানেটারি সিস্টেমের ছবি অবশ্য 'ডিরেক্ট ইমেজিঙের' মাধ্যমে তোলা হয়েছে, কিন্তু সেক্ষেত্রেও টেলিস্কোপের ফোকাল প্লেনে বিশেষ ধরনের মাস্ক ব্যবহার করে তারাটাকে ব্লক করতে হয়েছে। এক্লিপ্সের সময় চাঁদ যেভাবে সূর্যকে ঢেকে দেয় সেরকম কৃত্রিম মাস্ক দিয়ে একটা তারাকে ব্লক করে দিতে পারলে তার চারদিকে গ্রহগুলো ভেসে উঠে। হাওয়াইয়ের কেক অব্জার্ভেটরিতে তোলা এমন একটা প্ল্যানেটারি সিস্টেমের সাত বছরের টাইমল্যাপ্স এই ছবিে দেখতে পাচ্ছ।+**হার্মিস:** করে। কিন্তু অনেক দূরে হওয়ায় এই প্রতিফলিত আলো আমাদের পক্ষে তারা থেকে আলাদা করে দেখা সম্ভব হয় না। আমাদের থেকে দূরত্বের তুলনায় একটা তারা থেকে তার গ্রহের দূরত্ব এতই কম যে তা বুঝার মতো রেজলুশন বর্তমানে আমাদের টেলিস্কোপের নেই। কাছের কিছু প্ল্যানেটারি সিস্টেমের ছবি অবশ্য 'ডিরেক্ট ইমেজিঙের' মাধ্যমে তোলা হয়েছে, কিন্তু সেক্ষেত্রেও টেলিস্কোপের ফোকাল প্লেনে বিশেষ ধরনের মাস্ক ব্যবহার করে তারাটাকে ব্লক করতে হয়েছে। এক্লিপ্সের সময় চাঁদ যেভাবে সূর্যকে ঢেকে দেয় সেরকম কৃত্রিম মাস্ক দিয়ে একটা তারাকে ব্লক করে দিতে পারলে তার চারদিকে গ্রহগুলো ভেসে উঠে। হাওয়াইয়ের কেক অব্জার্ভেটরিতে তোলা এমন একটা প্ল্যানেটারি সিস্টেমের সাত বছরের টাইমল্যাপ্স এই এনিমেশনে দেখতে পাচ্ছ।
  
 {{https://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/4/48/Hr8799_orbit_hd.gif?nolink&500}} {{https://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/4/48/Hr8799_orbit_hd.gif?nolink&500}}
  
-**সক্রেটিস:** আচ্ছা, তার মানে কেন্দ্রে যেখানে চিহ্ন সেখানেই তারাটা থাকার কথা ছিল। ট্রানজিট মেথড নিয়ে তাহলে আরেকটা প্রশ্ন আছে। ট্রানজিটে যদি মোট আলোর পরিমাণ মাপা হয়, মানে তারার আলো এবং গ্রহ থেকে প্রতিফলিত হয়ে আসা আলো, তাহলে গ্রহ যখন তারার পিছনে চলে যাবে তখনো মোট আলোর পরিমাণ কিছুটা কমে যাওয়ার কথা না?+**সক্রেটিস:** আচ্ছা, তার মানে কেন্দ্রে যেখানে '★' চিহ্ন সেখানেই তারাটা থাকার কথা ছিল। ট্রানজিট মেথড নিয়ে তাহলে আরেকটা প্রশ্ন আছে। ট্রানজিটে যদি মোট আলোর পরিমাণ মাপা হয়, মানে তারার আলো এবং গ্রহ থেকে প্রতিফলিত হয়ে আসা আলো, তাহলে গ্রহ যখন তারার পিছনে চলে যাবে তখনো মোট আলোর পরিমাণ কিছুটা কমে যাওয়ার কথা না?
  
 {{:bn:courses:ast100:transits.webp?nolink&650|}} {{:bn:courses:ast100:transits.webp?nolink&650|}}
Line 194: Line 194:
 **সক্রেটিস:** আচ্ছা, ইন্টারেস্টিং। তাহলে ট্রানজিট মেথড থেকে গ্রহের সাইজ, আর রেডিয়াল ভেলোসিটির মাধ্যমে তার ভর যদি জানা যায়, তাহলে দুইটাকে একসাথে করে গ্রহটার ঘনত্ব বের করে ফেলা সম্ভব। **সক্রেটিস:** আচ্ছা, ইন্টারেস্টিং। তাহলে ট্রানজিট মেথড থেকে গ্রহের সাইজ, আর রেডিয়াল ভেলোসিটির মাধ্যমে তার ভর যদি জানা যায়, তাহলে দুইটাকে একসাথে করে গ্রহটার ঘনত্ব বের করে ফেলা সম্ভব।
 ===== - গ্রহের শ্রেণিবিন্যাস ===== ===== - গ্রহের শ্রেণিবিন্যাস =====
 +**হার্মিস:** ঠিক ধরেছ। সাইজ থেকে ভলিউম বের করা যায়, আর ভরকে ভলিউম দিয়ে ভাগ করলেই ডেন্সিটি পাওয়া যায়। এই ফিগারে এখন পর্যন্ত পাওয়া সব গ্রহের ভরের সাপেক্ষে রেডিয়াস দেখানো হয়েছে। এক্স অক্ষে আছে পৃথিবীর ভরের সাপেক্ষে গ্রহের ভর, আর ওয়াই অক্ষে পৃথিবীর রেডিয়াসের সাপেক্ষে গ্রহের রেডিয়াস। প্রতিটা বাবল একটা গ্রহ, আর বাবলের রং দিয়ে গ্রহটা কোন মেথডে আবিষ্কার করা হয়েছে তা দেখানো হচ্ছে।
 +
 {{:bn:courses:ast100:planets-r-m.webp?nolink|}} {{:bn:courses:ast100:planets-r-m.webp?nolink|}}
 +
 +**সক্রেটিস:** আর ডায়াগোনাল দুইটা ড্যাশ-লাইন তাহলে কনস্টেন্ট ডেন্সিটির লাইন, ঠিক না?
 +
 +**হার্মিস:** হ্যাঁ, নিচের ডায়াগোনাল লাইনে যদি কোনো গ্রহ পাওয়া যায় তাহলে তার ঘনত্ব পৃথিবীর সমান, মানে তার এক কিউবিক সেমি পদার্থের ভর ৫ গ্রাম। আর উপরের লাইনে থাকা সব গ্রহের ঘনত্ব শনি গ্রহের সমান, মানে প্রতি কিউবিক সেমিতে মাত্র ০.৭ গ্রাম। দুই লাইনের মাঝখানে থাকা সব গ্রহের ঘনত্ব পৃথিবী ও শনির মাঝামাঝি। নিচের ডায়াগোনাল লাইনের নিচের সব গ্রহের ঘনত্ব পৃথিবীর চেয়ে বেশি, আর উপরের ডায়াগোনাল লাইনের উপরের সব গ্রহের ঘনত্ব শনির চেয়ে কম। এখানে আবিষ্কারের মেথডগুলোও দেয়া আছে।
 +
 +**সক্রেটিস:** হ্যাঁ, বুঝাই যাচ্ছে ট্রানজিট সবচেয়ে সফল মেথড। সরাসরি ইমেজিং করা গেছে শুধু সবচেয়ে বড় ও ভারী গ্রহগুলির (উপরের ডান কোণায় নীল বাবল)। কিন্তু কিছু হলু ও লাল রঙের বাবল দিয়ে যেসব গ্রহ দেখানো হচ্ছে তাদের আবিষ্কারের মেথড নিয়ে তো কিছু বললে না।
 +
 +**হার্মিস:** সব মেথড আমাদের আপাতত না জানলেও চলবে।
 +
 +**সক্রেটিস:** ফাঁকিবাজির কোনো সুযোগই দেখি তোমরা ছাড়তে চাও না।
 +
 +**হার্মিস:** জীবন অনেক ছোট, পড়াশোনার চেয়ে ব্রহ্মপুত্রের দুই পারে কাজিরাঙা ন্যাশনাল পার্কের গণ্ডার দেখা অনেক বেশি আনন্দের। দেখো দুই গণ্ডার ঐ খানে গোসল করছে।
 +
 +**সক্রেটিস:** তুমি আগে এই ফিগারটা বুঝাও তার পরে গণ্ডারদের ফিগার দেখব সবাই একসাথে।
  
 {{:bn:courses:ast100:planets-r-p.webp?nolink&800|}} {{:bn:courses:ast100:planets-r-p.webp?nolink&800|}}
 +
 +**হার্মিস:** আচ্ছা, গ্যালাক্সি ও স্টারের ক্লাসিফিকেশন যেহেতু আমরা দেখেছি সেহেতু গ্রহের শ্রেণিবিন্যাস বাদ দেয়া ঠিক হবে না। এই স্ক্যাটার-প্লট নামে পরিচিত এই ফিগারে ওয়াই অক্ষে আগের মতোই গ্রহের রেডিয়াস আছে, কিন্তু এক্স অক্ষে ভরের বদলে দেখানো হয়েছে গ্রহের অর্বিটাল পিরিয়ড, মানে তারার চারদিকে একবার ঘুরে আসতে গ্রহের যত দিন লাগে সেটা।
 +
 +**সক্রেটিস:** আর প্রতিটা বাবল একটা গ্রহ বুঝলাম, কিন্তু বাবলের কালার দিয়ে যে 'ইকুইলিব্রিয়াম' টেম্পারেচার দেখাচ্ছ সেটা কি জিনিস?
 +
 +**হার্মিস:** একটা গ্রহ তার তারা থেকে আলোর মাধ্যমে যে পরিমাণ এনার্জি পায় ঠিক সেই পরিমাণ এনার্জিই যদি প্রতিফলিত আলোর মাধ্যমে বের করে দেয়, তাহলে তার সার্ফেসের তাপমাত্রা যত হবে তার নাম ইকুইলিব্রিয়াম টেম্পারেচার। এটা বাস্তব তাপমাত্রা থেকে আলাদা হতে পারে। যেমন পৃথিবীর সার্ফেসে বাস্তবে গড় তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, কিন্তু পৃথিবীর ইকুইলিব্রিয়াম টেম্পারেচার -১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাস্তব তাপমাত্রা বেশি কারণ পৃথিবী যে পরিমাণ আলো পায় তার চেয়ে কম পরিমাণ আলো দেয়; প্রতিফলিত আলোর একটা অংশ গ্রিনহাউজ ইফেক্টের মাধ্যমে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে থেকে যায়। যাহোক, দেখতেই পাচ্ছ যে গ্রহের পিরিয়ড যত কম সে তার তারার তত কাছে, সুতরাং তার তাপমাত্রাও তত বেশি (বাবলের রং তত বেশি লাল)। আর যার পিরিয়ড বেশি তার দূরত্ব বেশি, তাপমাত্রা কম (বাবল নীল)। পিরিয়ডের সাথে দূরত্বের এই সম্পর্ক কেপলার আজ থেকে চারশ বছর আগে বের করেছিলেন, যার সাথে তারা যুগে আমাদের দেখা হয়েছিল।
 +
 +**সক্রেটিস:** আচ্ছা বুঝলাম। এবার শ্রেণিবিন্যাসটা বুঝাও। নিচের গ্রহগুলো পৃথিবীর মতো, উপরের গুলো (পৃথিবীর চেয়ে ১০ গুণ বড়) জুপিটার ও স্যাটার্নের মতো, আর মাঝের গুলো (৪ গুণ বড়) আইস জায়ান্ট ইউরেনাস ও নেপচুনের মতো। কিন্তু এক্স অক্ষ বরাবর বিভাজনটা কিভাবে করেছ, আর কালো রঙের ডায়মন্ড আইকনটা কি?
 +
 +**হার্মিস:** কালো ডায়মন্ড আইকন দিয়ে পৃথিবী বুঝানো যাচ্ছে, যার পিরিয়ড ৩৬৫ দিন। পিরিয়ড যত কম তাপমাত্রা তত বেশি, এই কারণে যেসব গ্রহের পিরিয়ড এক থেকে দশ দিনের কাছাকাছি তারা লাভা ওয়ার্ল্ড (পৃথিবীর মতো রকি হলে), ওশান ওয়ার্ল্ড (সমুদ্রে ঢাকা গ্রহ) অথবা হট জুপিটার (বৃহস্পতির মতো গ্যাসি হলে) হতে পারে। আর তাপমাত্রা যাদের অনেক কম তারা হয় কোল্ড গ্যাস জায়ান্ট নয় আইস জায়ান্ট।
 +
 +**সক্রেটিস:** সুপার-আর্থ কি জিনিস?
 +
 +**হার্মিস:** পৃথিবীর চেয়ে অন্তত দুই গুণ বড় কিন্তু নেপচুনের চেয়ে ছোট গ্রহদেরকে সাধারণত সুপার-আর্থ বা মহাপৃথিবী বলে। লোহা-গলানো গরম থেকে শুরু করে পানি-জমানো ঠান্ডা পর্যন্ত সব ধরনের সুপারার্থই পাওয়া গেছে। কেপলার-২২বি নামে পরিচিত একটা সুপার-আর্থ হতে পারে ওশান ওয়ার্ল্ড, মানে প্রায় পুরোপুরি সমুদ্রে আবৃত। সাত হাজার গ্রহের মধ্যে প্রায় আড়াই হাজারই আবিষ্কার করেছে নাসা'র পাঠানো কেপলার স্পেস টেলিস্কোপ; এসব গ্রহের নাম এজন্যই আমাদের বন্ধু বেচারা কেপলারের নামে।
 +
 +**সক্রেটিস:** কেপলার-২২বি-তে পানির কথা শোনার পর আসলেই আর পড়াশোনা ভালো লাগছে না। [[https://youtu.be/YCXOtcharM0|কাজিরাঙা'র ব্রহ্মপুত্রে]] এখন চলো গণ্ডারের গোসল দেখি।
bn/courses/ast100/4.1734167589.txt.gz · Last modified: 2024/12/14 02:13 by asad

Donate Powered by PHP Valid HTML5 Valid CSS Driven by DokuWiki