পৃথিবী থেকে অব্জার্ভেবল ইউনিভার্সের পরিধি অবধি ডিস্টেন্স মাপার সামর্থ্য এখন আমাদের আছে। ছোট ডিস্টেন্স যে উপায়ে মাপা যায় বড় ডিস্টেন্স সেই উপায়ে মাপা যায় না। আমাদের গ্যালাক্সির ভিতরের কোনো তারার দূরত্ব মাপা হয় প্যারালাক্সের মাধ্যমে, কিন্তু আশপাশের অন্যান্য গ্যালাক্সির ডিস্টেন্স মাপার জন্য ইউজ করা হয় সিফিড ভ্যারিয়েবলের মতো তারাদের উজ্জ্বলতার পরিবর্তন। কোন ডাইমেনশনের ডিস্টেন্স কোন মেথডে মাপা হয় তা নিচের ছবিতে দেখানো হয়েছে।
আমাদের সৌরজগতের বিভিন্ন বস্তুর দূরত্ব পৃথিবী থেকে মাপা হয় প্রধানত রেডারের মাধ্যমে। পৃথিবী থেকে পাঠানো একটা রেডার সিগনাল কোনো অব্জেক্টে প্রতিফলিত হয়ে আমাদের কাছে ফিরে আসতে যে সময় নেয় তা থেকেই দূরত্ব বের করে ফেলা যায়। আমাদের কাছের তারাদের দূরত্ব মাপা হয় ত্রিকোণমিতিক প্যারালাক্সের মাধ্যমে। আরো দূরের তারাদের ক্ষেত্রে ইউজ করা হয় স্পেক্ট্রোস্কপিক প্যারালাক্স এবং বাইনারি তারাদের অর্বিট। গ্যালাক্সির প্রান্তিক অঞ্চলে থাকা গ্লবুলার ক্লাস্টারের দূরত্ব মাপা হয় এইচ-আর ডায়াগ্রামের মেইন সিকোয়েন্স দিয়ে কিংবা আর-আর লাইরি নামে পরিচিত এক ধরনের ভ্যারিয়েবল স্টারের মাধ্যমে। আমাদের কাছের গ্যালাক্সিদের ডিস্টেন্স হিসাব করা যায় অন্তত পাঁচটা জিনিস দিয়ে: গ্যালাক্সিটার রোটেশন কার্ভ, সিফিড ভ্যারিয়েবল তারা, এইচ-টু রিজন, ও-টাইপ স্টার এবং নোভা। আরো দূরের গ্যালাক্সিদের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয় টালি-ফিশার রিলেশন, ফেবার-জ্যাকসন রিলেশন, গ্যালাক্সিদের ব্রাইটনেস এবং সুপারনোভা। সবচেয়ে দূরের গ্যালাক্সিদের দূরত্ব সবচেয়ে ভালো জানা যায় তাদের কসমোলজিকেল রেডশিফট থেকে, তবে সুপারনোভাও অনেক সময় কাজে লাগতে পারে।