একাধিক ভাষার বিভিন্ন শব্দের মধ্যে মিল চারভাবে হতে পারে: কাকতালীয়ভাবে, একে অন্যের থেকে ধার করে, অনুকারের মতো ভাষার কিছু সর্বজনীন ধর্মের কারণে, অথবা একটি কমন প্যারেন্ট-ভাষা থেকে বংশানুক্রমে জন্মানোর মাধ্যমে। গ্রিক ও লাতিন ভাষায় খোদা হচ্ছে, যথাক্রমে, থেওস ও দেউস; শুনতে এক রকম হলেও এদের মধ্যে কোনো ঐতিহাসিক কানেকশন নাই, এই মিলের একমাত্র জননী চান্স। কোকিলের ইংলিশ কুকু ও জার্মান কুকুক শুনতে এক রকম, এটা চান্স না বরং অনুকার বা অনোমাটপিয়া; দুই ভাষাতেই কোকিলের ডাকের অনুকরণ করে কোকিলের নাম রাখা হয়েছে। বাংলা কাগজ ও কলম আরবিতে এই দুই শব্দের মতোই কারণ বাংলা এগুলো আরবি থেকে ধার করেছে। নিচে সাতটি ইন্দো-ইউরোপিয়ান ভাষায় প্রথম দশটি সংখ্যার নামের মধ্যে মিল খেয়াল করে দেখো।
বাংলা | হিন্দি | ফার্সি | ইতালিয়ান | ফ্রেঞ্চ | জার্মান | ইংলিশ |
---|---|---|---|---|---|---|
এক | এক | য়েক | উনো | আঁ | আইন্স | ওয়ান |
দুই | দো | দো | দুয়ে | দো | জ্বাই | টু |
তিন | তিন | সে | ত্রে | ত্রোয়া | ড্রাই | থ্রি |
চার | চার | চাহার | কোয়াত্রো | কেত্র্ | ফিয়া(র) | ফোর |
পাঁচ | পাচ | পাঞ্জ | চিংকুয়ে | সাংক্ | ফুন্ফ | ফাইভ |
ছয় | ছে | শেশ | সেই | সিস | যেক্স | সিক্স |
সাত | সাত | হাফত | সেত্তে | সেত | যিবেন | সেভেন |
আট | আট | হাস্ত | ওত্তো | উইত | আখ্ট | এইট |
নয় | ন | ন | নোভে | নেফ | নয়েন | নাইন |
দশ | দস | সেফ্র | দিয়েচি | দিস | জেন | টেন |
এই মিল চান্স, ধার বা অনুকার কোনো কারণেই না, এর একমাত্র কারণ এই সব ভাষার প্যারেন্ট এক, যার নাম দেয়া হয়েছে প্রোটো-ইন্দো-ইউরোপিয়ান (পিআইই, বা পাই)।